গুয়াহাটিঃ স্বাস্থ্যই সম্পদ। এই কথাটি আমরা সবাই জানি। তবুও বর্তমানে ডিজিট্যাল (Digital) যুগে মোবাইল এবং Social Media আমাদের জীবনের প্ৰত্যেকদিনের অনেকটা সময় নিয়ে নেয়। শরীর সুস্থ রাখাটাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ। অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণে যেমন বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে ঠিক তেমনই আয়ুও কমতে থাকে ধীরে ধীরে।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষই সারাদিন বসেই কাজ করেন Computerএর সামনে। যা শারীরিক বিভিন্ন রোগের অন্যতম এক কারণ বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা ইঙ্গিত দেয়, প্রতিদিন ব্যায়াম করলে যা শরীরকে শুধুমাত্ৰ ফিটা রাখাই নয়, মনের মধ্যে আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে দেয়। চাপমুক্ত (Stress Free) থাকতেও সহায়তা করে।
প্ৰতিনিধিত্বমূলক ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
দৈনিক অন্তত ১০ মিনিট দ্রুত হাঁটলে অতিরিক্ত ১৬ বছর আয়ু পাওয়া যায়। মন এবং শরীরের বার্ধক্য প্রক্রিয়াটিও ধীরে ঘটে বলে জানা গেছে গবেষণায়।
গবেষনায় দেখা গেছে, অস্বাস্থ্যকর জীবনধারা অসংখ্য অসুস্থতার কারণ হয় ও এটি প্রাথমিক মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
গবেষকরা পরামর্শ দিচ্ছেন- সুস্থ থাকতে ও বার্ধক্য দূর করতে নিয়মিত ব্যস্ত থাকা, সামাজিকভাবে জড়িত থাকা ও চলাফেরা করা উচিত সবারই। লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
দৈনিক ১০ মিনিটের হাঁটা বার্ধক্যের হারকে ধীর করে দেয়। বয়স-সম্পর্কিত গতিশীলতার সমস্যাও দূর করে।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (World Health Organization) সংক্ষেপে WHO মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণের একটি হিসাবে বসে থাকা জীবনযাত্রাকে তালিকাভুক্ত করেছে। এমনকি বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্বও আয়ু কমাতে পারে।
সন্ডার্স নামের একজন গবেষক বলেছেন, ‘সামাজিকভাবে জড়িত থাকা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উপর বিরাট প্রভাব ফেলে। অন্যদিকে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা মানসিক স্বাস্থ্য-সম্পর্কিত সমস্যা বাড়ায়।
২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনা মহামারির সময় লকডাউনের ফলে প্ৰত্যেকের সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কম বেশি বেড়েছে। ফলস্বরূপ অনেকে এখনও মানসিক স্বাস্থ্য সংক্ৰান্ত সমস্যায় ভুগছেন।
নিজেকে সুস্থ ও সুখী রাখার শীর্ষ তিন উপায় হচ্ছে – সকালে ১০-১৫ মিনিট হাঁটা, ৮ ঘণ্টা ঘুমানো ও নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে মেশা এবং বন্ধুত্ব বাড়ানো। ঘরবন্দি হয়ে থাকলেও আয়ু কমতে পারে বলে জানাচ্ছে গবেষণা। একই সঙ্গে পুষ্টিকর খাদ্য (Healthy Food) খাওয়া ও নিজেকে ব্যস্ত রাখার মাধ্যমে সুস্থ থাকতে পারা যায় খুব সহজেই। প্ৰতিদিন সকালে পরিবেশ ও প্ৰকৃতির সঙ্গে একাত্ব হওয়া, গাছে জল দেওয়া, পাখির ডাক শোনা, গাছ লাগানো, কচি নরম সবুজ ঘাসের ওপর দিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটা এই সবের মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে সুস্থ জীবনের জয়গান। ভালো থাকার চাবিকাঠি।