দিল্লি:তসলিমা নাসরিন পরীমনির পাশে। বাচ্চার ছবি প্রকাশ করার বিষয়টা তাঁর পছন্দ হয়েছে। তবে নামটা পছন্দ হয়নি।
লেখক তসলিমা লিখেছেন,”সিনেমার নায়িকারা আজকাল একটা ঢং করে, বাচ্চা হলে বাচ্চার মুখ দেখাবে না, পেছন থেকে বাচ্চাকে দেখাবে, অথবা মুখটা একটা লাভ সাইন দিয়ে ঢেকে দেবে।
যখন বাচ্চার মুখ দেখার জন্য লোকে অধীর আগ্রহে বসে থাকবে না, তখন, হয়তো সেটা কয়েক বছর পর, দেখাবে। পরীমণি বাংলাদেশের সিনেমার নায়িকা। তিনি অন্য নায়িকাদের মতো বাচ্চার মুখ না দেখানোর ঢংটা করেননি বলে ভালো লাগলো।
প্রথম দিনই বাচ্চার চেহারা দেখিয়ে দিয়েছেন জনগণকে। তবে স্বামীর নামের সঙ্গে মিলিয়ে বাচ্চার নাম রাখাটা বিশেষ পছন্দ হয়নি। স্বামীট্বামীরা আজ আছে, কাল নেই। সন্তান তো চিরদিনের। পরী তাঁর নামের সঙ্গে মিলিয়ে সুন্দর একটি বাংলা নাম রাখতে পারতেন”।
এর আগেও বাংলাদেশের চিত্রনায়িকা পরীমনির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তসলিমা। মাদক গ্রহণ, নানা সময়ে বিতর্কের জন্ম দেওয়া আলোচিত নায়িকা পরীমনির অপরাধ খুঁজে পাননি বাংলাদেশি লেখক তসলিমা নাসরিন।
তিনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পরীমনিকে নিয়ে স্ট্যাটাস দেন।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছিলেন,মদ খাওয়া, মদ রাখা, ঘরে মিনিবার থাকা কোনোটিই অপরাধ নয়। বাড়িতে বন্ধু বান্ধব আসা, একসঙ্গে মদ্যপান করা অপরাধ নয়। বাড়িতে ডিজে পার্টি করা অপরাধ নয়।
কারো সাহায্য নিয়ে সিনেমায় নামা অপরাধ নয়। কারো সাহায্যে মডেলিং এ চান্স পাওয়া অপরাধ নয়। কোনো উত্তেজক বড়ি যদি সে নিজে খায় অপরাধ নয়। ন্যাংটো হয়ে ছবি তোলাও অপরাধ নয়। লাইসেন্স রিনিউ-এ দেরি হওয়াও তো অপরাধ নয়।
পরীমনি নাকি একাধিক বিয়ে করেছে, সেটিও কোনো অপরাধ নয়।
অপরাধ তবে কোথায় যে অপরাধের জন্য দামি গ্লেনফিডিশ হুইস্কিগুলো বাজেয়াপ্ত করা হলো, মেয়েটাকে গ্রেফতার করা হলো, রিমাণ্ডে নেওয়া হলো!
যে কটা মদ ভর্তি বোতল দেখা গেল পরীমনির বাড়িতে, মদের লাইসেন্সধারীদের বেসমেন্টের সেলারে এর চেয়ে অনেক বেশি থাকে। একটা দুটো পার্টিতেই সব সাবাড় হয়ে যায়। পরীমনি আবার মদ শেষ হয়ে গেলে খালি বোতল জমিয়ে রাখে।
বোতলগুলো দেখতে ভালো বলেই হয়তো। কী জানি, এও আবার অপরাধের তালিকার মধ্যে পড়ে কিনা।
সত্যিকার অপরাধ খুঁজছি। কাউকে কি জোর করে মাদক গিলিয়েছে, মদ গিলিয়েছে, কারো সঙ্গে প্রতারণা করেছে মেয়েটি ধাপ্পা দিয়ে ব্যাংকের হাজার কোটি টাকা পকেটে ভরেছে, কাউকে খুন করেছে অনেকে বলছিল খুব গরিব ঘর থেকে উঠে এসে ধনী হয়েছে পরীমনি। নাকি মেয়ে হওয়াটাই সবচেয়ে বড় অপরাধ”?