“তা এমনি করা হয়?
পুজো করি।
পুজো করো! পুজো করো! তাহলে তো আমাদের বাড়িতে দারুণ লাগবে তোমাকে।
“পৌরোহিত্যে নারীর কোন অধিকার নেই!”
বড় পণ্ডিত যারা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাঁদের সবসময় মনে হয়েছে যে মেয়েরা বেদ পাঠ করতে পারে না। মেয়েরা ‘ওম’ বলতে পারবে না। এই সমস্ত নিয়ম তাঁরা বলেছেন। কিন্তু আমরা বিবেকানন্দের কথা স্মরণ করে দেখেছি, যে তিনি তো বের করেছেন, শুক্ল যজুর্বেদে রয়েছে যে বেদে সকলের অধিকার আছে।”
বৈদিক মতে বিয়ের কথা হয়তো শুনেছেন। এ বিয়েতে কন্যাদানের বালাই নেই, কিন্তু গোটা প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন করেন মহিলা পুরোহিতরা। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার সময় চাল দিয়ে কনেকে বলতে হয় না, “বাবা-মায়ের সব ঋণ শোধ করলাম।” নতুন বউকে বর বলেন না, “আজ থেকে তোমার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলাম।”
সমাজের ট্যাবু, কুসংস্কার ভেঙে ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ ছবি আসছে আগামি মাসের নারী দিবসে।
অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের পরিচালিত ছবির মুখ্য চরিত্র শবরী অর্থাৎ ঋতাভরী চক্রবর্তী।
এই ছবিতে ঋতাভরীর বিপরীতে দেখা যাবে সোহম মজুমদারকে, তাঁর চরিত্রের নাম বিক্রমাদিত্য।
বাঁধ তো ভাঙতেই হবে! মেয়েরা বেরিয়ে আসুক সকল কুসংস্কারমুক্ত হয়ে, জড়তা ভেঙে। নারী সব শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে বেরিয়ে পড়ুক! হাল ধরে দেখাক সে কী না পারে!!! পারে তো সবই, তবুও জড়তা, তবুও বন্ধন ।
একবার মুক্ত হতে পারলে আর ভয় নেই… মুক্ত নিজেকেই নিজে করতে হবে! পরাধীনতার যন্ত্রণাটাই মেয়েরা বোঝে না, তাই স্বাধীনতার জন্যে ছটফটানি নেই, ডানা ঝাপটানো নেই!
এগিয়ে আসতে হবে তাঁকেই, তাঁকেই জমা জলে জোয়ার আনতে হবে!
পরিবর্তন আসবেই, এই সমাজ কুসংস্কার মুক্ত হবেই…
পরিবর্তন আসবেই, এই সমাজ কুসংস্কার মুক্ত হবেই…
Posted by ত্রিনয়না on Wednesday, February 26, 2020