কলকাতা: Priyanka Chopra প্রায়সময় চর্চায় থাকেন। তবে তিনি কাজগুলো বেশ সাহসী করেন। গত বছর ১৫ই জানুয়ারী’দেশি গার্ল’-এর কোলে এসেছিল কন্যাসন্তান।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তানের জন্মের খবর দিয়েছিলেন অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তবে সেই সন্তান নিজের গর্ভের নয়, সারোগেসির সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া লেখেন, ‘আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে নিশ্চিত করছি যে আমরা সারোগেসির মাধ্যমে এক সন্তান এনেছি। এই বিশেষ সময়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে সকলের কাছ থেকে ব্যক্তিগত সময় চেয়ে নিচ্ছি কারণ এখন আমরা পরিবারে বেশি নজর দিতে চাই। অসংখ্য ধন্যবাদ।’
সম্প্রতি তিনি প্রকাশ্যে আনলেন আরও এক খবর। তিনি জানালেন মা মধু চোপড়ার পরামর্শে তিনি ৩০ বছর বয়সেই নিজের ডিম্বানু সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন। অনেক আগে তিনি এই কাজ করে রেখেছিলেন।
তিনি এই বিষয়ে জানান, ‘আমি সম্পূর্ণভাবে স্বাবলম্বী হয়ে সন্তান নিতে চেয়েছিলাম, তাই কেরিয়ারের একটি নির্দিষ্ট জায়গার পৌঁছনোর জন্য় আমাকে অনেকটা সংগ্রাম করতে হয়েছে। পাশাপাশি, তখনও আমার জীবনে এমন কেউ আসেনি যার সঙ্গে আমি সন্তান নেওয়ার কথা ভাবতে পারব। তাই মায়ের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি নিজের ডিম্বানু সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম।’
উল্লেখযোগ্য যে, প্রিয়াঙ্কার মা একজন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, নাম মধু চোপড়া। তাঁর পরামর্শেই তিনি ডিম্বানু সংরক্ষণ করে রাখেন।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে তিনি নিজেকে বেশ স্বাধীন অনুভব করেছিলেন। “আমি বাচ্চাদের ভালোবাসি। আমি সবসময়ই বাচ্চা নিতে চেয়েছি। তাই তিরিশে পা দিয়েই আমি ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলাম যাতে আমি আমার কাজ চালিয়ে যেতে পারি। আমি উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তাছাড়াও নিজের কেরিয়ারে সফল হতে চেয়েছিলাম। আবার সেই সময় আমি এমন কাউকে পাইনি যার সঙ্গে বাচ্চা নেওয়ার কথা ভাবতে পারি। তাই মায়ের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত”।
তিরিশের কোঠায় পৌঁছেই তিনি তাঁর ডিম্বানু সংরক্ষণ করেছিলেন। তাঁর মা মধু চোপড়া নিজে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ। তাই তাঁর মায়ের পরামর্শে তিরিশ বছর বয়স হতেই ডিম্বানু সংরক্ষণ করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা।
কর্মরত মহিলাদেরও ডিম্বাণু সংরক্ষণের পরামর্শ দেন প্রিয়াঙ্কা। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণুর নিষেকের ক্ষমতা কমে যায়। তাই কিছু টাকা জমিয়ে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রাখলে পরবর্তীতে সন্তানধারণে কোনরকম সমস্যা হয় না।
প্রিয়াঙ্কা বলেন, একজন মহিলা যতদিন চান, ততদিন কাজকর্ম করতে পারবেন। ডিম্বাণু একবার সংরক্ষণ করা থাকলে সেটার বয়স বাড়ে না।