মুম্বইঃ বলিউড (Bollywood) থেকে হলিউড (Hollywood) সর্বত্ৰই দাপিয়ে বেরাচ্ছেন তিনি। প্ৰিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) মা হওয়ার পর নানা ভাবে বিতর্কের সম্মুখীন হন। গত বছর জানুয়ারি মাসে সারোগেসির (Surrogacy) মাধ্যমে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্ৰিয়ঙ্কা (Priyanka Chopra) এবং নিক জোনাস(Nick Jonas)।কন্যার নাম রেখেছেন মালতি মেরি চোপড়া জোনাস (Malti Marie Chopra Jonas)।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
সন্তান জন্মের পর ১০০ দিন পর্যন্ত জোনাস দম্পতি বাড়িতে নিয়ে যেতে পারেননি। ১২ সপ্তাহ আগেই মালতীর জন্ম দিয়েছিলেন সারোগেট মা। তার ফলে চিকিৎসকদের নজরদারিতে ছিল প্ৰিয়াঙ্কা এবং নিকের সদ্যজাত কন্যা।
সম্প্ৰতি ব্ৰিটিশ (British) এক জনপ্ৰিয় ম্যাগাজিনে প্ৰিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) তাঁর কন্যা মালতির সঙ্গে একত্ৰে ছবি প্ৰকাশ হয়েছে। সেখানে সাক্ষাৎকারে প্ৰিয়ঙ্কা (Priyanka Chopra) মা হওয়ার পর যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন।
প্ৰিয়াঙ্কা বলেন- “সে যখন বাইরে এসেছিল তখন আমি OR [অপারেটিং রুমে] ছিলাম। ও এত ছোট, আমার হাতের চেয়ে ছোট”। প্ৰিয়ঙ্কা বলেন, “আমি দেখেছি নার্সরা কীভাবে তার নিবিড়-যত্ন করেছে। তারা ঈশ্বরের কাজ করেছেন। নিক এবং আমি দুজনেই সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম যখন তাকে intubated রাখা ছিল। আমি জানি না কিভাবে তারা এমনকি তাকে ইনটুবেশন করার জন্য [তার ছোট্ট শরীরে] যা প্রয়োজন তা খুঁজে পেয়েছিল।”
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
প্ৰিয়ঙ্কা (Priyanka Chopra) বলেছেন সন্তানের জন্ম দিতে কেন তিনি সারোগেসির রাস্তা বেছে নিয়েছেন। তিনি বলেন- “আমার চিকিৎসা সংক্রান্ত জটিলতা ছিল, এটি খুবই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ছিল, এবং আমি খুবই কৃতজ্ঞ যে আমি তা করার মতো অবস্থানে ছিলাম, যেখানে আমি তা করতে পেরেছি। আমাদের সারোগেট এত উদার, সদয়, সুন্দর এবং মজার ছিল, তিনি ছয় মাস ধরে আমাদের জন্য এই মূল্যবান উপহারের যত্ন নিয়েছিলেন… আপনি আমাকে জানেন না, আপনি জানেন না যে আমি কেমন সময় পার করে এসেছি। ’’
প্রিয়াঙ্কা (Priyanka Chopra) বলেন, ‘‘লোকে বলছে, আমি নাকি গর্ভ ভাড়া করেছি। যাতে সারোগেসির মাধ্যমে রেডিমেড বেবি কিনতে পারি! নিজের মেয়ের সম্পর্কে যে কোনও মানুষের পক্ষেই কথাগুলো শোনা যে কী ভয়ঙ্কর যন্ত্রণার! আর সেই সময়ে এগুলো শুনতে হচ্ছে, যখন ডাক্তাররা ওর শরীরে ধমনী খুঁজে চলেছেন! ছোট্ট হাত দু’টো ধরে থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিই যে যাই হয়ে যাক, ওকে আমি গসিপে পরিণত হতে দেব না। কারণ এটা তো কেবল আমার জীবনের বিষয় নয়, ওরও জীবন এটা।’’