ঢাকা: রাজ পরীমনির সম্পর্কটা টিকল না। শেষ অবধি তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে গেল। বহুদিন ধরেই রাজ-পরীমনির বৈবাহিক জীবনে ঝামেলা চলছিল। এভাবে ঝামেলা নিয়ে অন্তত সংসার হয় না। তাছাড়া রাজের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ আছে।
ঘর ছেড়ে হঠাৎ হঠাৎ উধাও হয়ে যায়, তাঁর নাকি স্পেস লাগে! এভাবে কয়দিন?
বাংলাদেশের চিত্রনায়িকা পরীমনির এই বিয়েটাও টিকল না। শরিফুল রাজের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘পরী’র পঞ্চম বিয়েটাও ভাঙতে চলেছে।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, শরিফুল রাজকে বিবাহ-বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমনি। জানা যাচ্ছে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের কাছে এই ডিভোর্সের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
একটি স্টেটাস দেয়া হয়েছিল আগে ফেসবুকে। সেটা আবার পোস্ট করে পরীমনি পরিষ্কার লিখেছেন:
“নিশ্চই এই স্ট্যাটাস এর কথা মনে আছে অনেকেরই! সেবারও রাজ পাঁচ দিনের মাথায় বাসায় ফিরে আমার ফেসবুক থেকে এটা ডিলিট করে দিয়েছিলো। তারপর এসব ঘটনার সে পুনরাবৃত্তি করেছে বার বার। সরি বলা, না খেয়ে থাকা, পা ধরে মাফ করে দাও আর হবে হবে না, এমনকি সুইসাইড এর মতো হুমকিতেও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হতে হয়েছে আমাকে!
একই রকম ভুলের ক্ষমা কতো বার করা যায় আমি জানি না। আমি শুধু সব ভুলে সুন্দর স্বাভাবিক একটা পারিবারিক সম্পর্ক চেয়েছিলাম। কিন্তু সে কখনোই এই সম্পর্কটাকে ওউন করেনি। সবার সামনে আমার বৌ, আমার বাচ্চা করে বেড়ানো ভয়ংকর মানুষ একজন।
যে কিনা এই সম্পর্কটাকে শুধু নিজের স্বার্থে ইউজই করে গেলো প্রতিনিয়ত!
আমি এমন ভয়ংকর একজন মানুষকে বার বার সুযোগ দিয়েছি।সেও সুযোগ পেতো কারণ আইনগতভাবে তার সাথে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।
এসবে বারবার আমি অসম্মানিত হয়েছি আপনাদের কাছেও।
আমাকে ক্ষমা করবেন।
***আমি তাকে অফিসিয়ালি ডিভোর্স দিয়েছি। খুবই স্বাভাবিক ওয়েতে। এটাও তাকে আমার এক প্রকার ক্ষমা করে দেয়া। না হয় আমার সাথে যে অন্যায়গুলো করেছে তাতে তার জেল হওয়ার কথা।
বিঃদ্রঃ আমার ছেলের যাবতীয় খরচ মানে ভরণপোষণ থেকে আগামীতে পড়াশোনা যা কিছু আছে সব আমি একা বহন করবো। এতো দিন যেভাবে করেছি। বাচ্চার ফুল গার্ডিয়ানশিপ এখন তার মা’র। এ বিষয়ে যা কিছু বলার আমার আইনজীবীরা বলবেন।
ধন্যবাদ”।