শরতের পুজো, পুজোর কলকাতা, কলকাতার বেতার, বেতারের প্রাণপুরুষের নামটি বাঙালির অজানা থাকার কোন কথাই নয়। তিনি হলেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! অনেকে বেতার অনুষ্ঠানকেই চেনেন একমাত্র ‘মহালয়া’ হিসেবে।
বাঙালির প্রাণপুরুষের জীবনী নিয়ে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় তৈরি হয়েছে চলচ্চিত্র। নাম ‘বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র’।
ছবির পূর্ণ মাত্রা প্রদান করার জন্যে পরিচালককে বহু গবেষণা করতে হয়েছে। অয়নবাবু ‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি’তে গিয়ে নিয়ম করে পড়াশুনা চালিয়েছেন। বিশেষ করে ‘আকাশবাণীর ইতিহাস’ বইটি তাঁকে বহু পরিমাণে সাহায্য করেছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
এছাড়া অবদান রয়েছে বিখ্যাত শিল্পী তথা অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি পরিচালককে য় ১৯৫৫-’৫৬- সালের ঘটনাগুলো পরিষ্কার করেছেন পরিচালক অয়নের কাছে। সে অনুযায়ী অয়ন মুখার্জী বিংশ শতাব্দীর সে সময়কার খবরের কাগজগুলো জোগাড় করে গবেষণা চালিয়ে গেছেন।
বীরেন্দ্রকৃষ্ণের স্তোত্রপাঠের গাম্ভীর্যে মুখরিত হয়ে ওঠে মহালয়ার আধো ঘুমে-আধো জেগে থাকা পাড়া। বাঙালির ক্লিন্ন মনে সঞ্চারিত হয় ভাবরস।
তাঁকে ছাড়া মহালয়! ভাবাই যায় না। ভোরবেলায় রেডিওর নব ঘুরিয়ে পুরো ভলিউমে সেই স্তোত্রোপাঠের আওয়াজ কানে না এলে মনেই হয় না, বাঙালির শারদোৎসব আসতসব। আর সেই শারদোৎসবকে জীবন্ত করে তুলতেন বীরেন্দ্রবাবু।
পরিচালক অয়ন মুখার্জীর এই মহৎ কার্যকে আপামর বাঙালি স্বাগতম জানিয়েছে। বাঙালির আত্মাকে আরো একবার পূর্ণতা দিয়েছেন অয়ন বাবু।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর থেকেই ছবিটি ‘হালুম’ ইউটিউব চ্যানেলে দেখা যাবে।