গুয়াহাটিঃ পুরনো দিনের কথা শেষ। এখন বদল আনার সময়। দেশ এগোচ্ছে, সমাজ এগোচ্ছে, গোটা দুনিয়া এগোচ্ছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের চিন্তা ভাবনা মানসিকতা। নারীরা নেতৃত্বের জায়গায় এগিয়ে আসছেন, একসময় যেখানে শুধু এবং শুধুমাত্ৰ পুরুষদের অধিকার ছিল। মিস ইউনিভার্সের মঞ্চে সৃষ্টি হল এক নতুন ইতিহাস। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার থেকে বিবাহিতা নারী, সন্তানের মায়েরাও বিশ্ব সুন্দরী খেতাব জেতার প্ৰতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এই পদক্ষেপকে ইতিবাচক এবং প্ৰগতিশীল বলে মনে করা হচ্ছে। এতে সার্বিকভাবে সমাজের আরও উন্নতি হবে।
২০২৩ সালের ‘Miss Universe’এর ৭২ তম আসরে নিয়মে বদল আসছে। এখন থেকে বিবাহিত নাকি অবিবাহিত, সন্তান আছে কি নেই— এই ধরনের আর কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না প্ৰতিযোগীকে। এইসব অবান্তর প্ৰশ্নের আর কোনও গুরুত্ব থাকবে না এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে।
এতোদিন শুধু অবিবাহিত নারীরাই এই প্ৰতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতেন। শুধু তাই নয়, যে বছর তাঁরা এই সম্মান জয় করতেন, সেই এক বছরের মধ্যে তাঁরা বিয়ে করতে পারতেন না। সন্তান জন্ম তো দূরের কথা। অন্যথা কেড়ে নেওয়া হতো খেতাব। কিন্তু এখন থেকে আর তা হবে না।
এখন প্ৰশ্ন উঠছে কীভাবে সম্ভব হল এটি? এর পিছনে ভূমিকা রয়েছে মেক্সিকো মডেল আনদ্রেয়া মেজার। ২০২০ সালে Miss Universe প্রতিযোগিতার বিজয়ী হন তিনি। তিনি ‘Miss Universe’-এ আযোজকদের কাছে নিয়ম বদলের এই আবেদন করেন। তাঁর মতে, এই নিয়মগুলি পুরোপুরি ‘অবাস্তব’। সংবাদমাধ্যমকে মেজা জানান, ‘সমাজ বদলাচ্ছে। নারীরাও এমন নেতৃত্বের জায়গায় এগিয়ে আসছেন, যেগুলি আগে শুধু পুরুষদেরই অধিকারে ছিল। সেক্ষেত্রে ‘Miss Universe’ প্রতিযোগিতার নিয়ম একেবারেই সমাজ বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’ নিয়মে যে বদল আসছে, তাতে তিনি খুবই খুশি বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর এই মডেল।
২০২৩ সালে ৭২ তম Miss Universe প্রতিযোগিতার আসর বসছে মাদাগাস্কর ও রোমানিয়ায়। সেখানেই এই বদল দেখা যাবে। ১৬০টির বেশি দেশের প্রতিযোগীদের নিয়ে প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতার আয়োজন হয়। এবার সেই মঞ্চ সাজবে নতুন আঙ্গিকে, পুরনো নিয়মের বেড়াজাল ভেঙে নতুন রূপে প্রতিযোগীরা আসবেন।
২০২১ সালে ভারতের হরনাজ সিন্ধু Miss Universe খেতাব জয় করেন। ইজরায়েলের ইলাটতে অনুষ্ঠিত ৭০ তম মিস ইউনিভার্স ২০২১ প্ৰতিযোগিতায় পঞ্জাবের হরনাজ সিন্ধু ভারতের হয়ে প্ৰতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার আগে দেশের হয়ে মাত্ৰ দুজন বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে সুস্মিতা সেন এবং ২০০০ সালে লারা দত্ত বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব অর্জন করেছিলেন।