এবার বিজ্ঞাপন করে রীতিমতো বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী।
একটি বেসরকারি সংস্থার বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন করার জন্যে নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয় ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই মর্মে মিমির সংসদ সদস্য পদ বাতিল হবে কিনা তা নিয়েও চলছে তুমুল আলোচনা।
এদিকে তৃণমূল সাংসদ মিমি কিন্তু হাত ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর দাবি, তিনি নিয়ম জানতেন না।
‘আমি এই সব নিয়ম-কানুন একদমই জানতাম না। আমাকে যা পড়তে বলা হয়েছিল, পড়ে দিয়েছি।’
যে সংস্থার হয়ে তিনি বিজ্ঞাপনটি করেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে মিমি জানান। তাঁর কথায়, ‘আমি তাদের বলব, ওই অংশগুলো এডিট করে বাদ দিতে।’
এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টের এক আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-র ৮(এ) ধারা অনুযায়ী দুর্নীতিগ্রস্ত কার্যকলাপের জন্য সাংসদ বা বিধায়কের পদ খারিজ করা যায়। একটি বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে একটি বেসরকারি ব্র্যান্ডের হয়ে প্রচার করার জন্য নিজের ‘জনপ্রতিনিধি’ পরিচয়কে ব্যবহার করে মিমি চক্রবর্তী অনৈতিক কাজ করেছেন। এই অনৈতিক কাজকে ‘দুর্নীতি’ হিসেবে ধরা যাবে কি না, তা নিয়ে তর্ক উঠতে পারে। তর্ক যদি ওঠে, তা হলে সংবিধানের সংশ্লিষ্ট ধারাটির বিশদ ব্যাখ্যা করবে আদালত। তার পরেই বোঝা যাবে, ওই সাংসদের পদ খারিজ হবে কি না।’’
বিজ্ঞাপনে মিমির সঙ্গে রয়েছেন বিখ্যাত অভিনেত্রী বিদ্যা বালন।
প্রশ্ন উঠছে, “একজন জনপ্রতিনিধি কী করে নিয়ম না জেনেই কাজ করে চলেছেন? তাহলে তো সংসদের কোন নিয়মই তাঁর জানা নেই!”
উল্লেখযোগ্য যে, সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর উক্ত বিজ্ঞাপন করায় আপত্তি কোথায়?
# নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক সাংসদকে শপথনামা দাখিল করতে সংসদের এথিক্স কমিটির কাছে। সেখানে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতির মাঝে তিনি কোনপ্রকার ব্যক্তিগত স্বার্থ অথবা জনস্বার্থের মাঝে সংঘাত সৃষ্টি হতে পারে, এমন কোন কাজ তিনি করবেন না বলেই শপথনামা পেশ করতে হয়।
#সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে মিমি চক্রবর্তী সেই শপথনামা ভেঙেছেন। কারণ একজন জনপ্রতিনিধির কাছে সকলেই সমান। তাঁর এই ‘জনপ্রতিনিধি’ লোগো কোন ব্যক্তিগত কিংবা কোন সংস্থার স্বার্থে ব্যবহার করা যাবে না।