পরিচালক শুভ্রজিৎ মিত্রর হাত ধরে ফের বড় পর্দায় ফিরছে অপু। ফিরছে অপর্ণাও। ছবির নাম ‘অভিযাত্রিক’। অপুর চরিত্রে অর্জুন চক্রবর্তী। অপর্ণার চরিত্রে দিতিপ্রিয়া রায়।
শুক্রবার ওই ছবির ‘শুভ মহরত’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ছবিটির প্রযোজনা করছেন গৌরাঙ্গ জালান। একসময় তাঁর প্রযোজনা সংস্থা তপন সিংহর ছবির প্রযোজনা করেছে। ছবিটির নিবেদক জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকর। এই প্রথম কোনও বাংলা ছবিতে নিবেদকের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁকে।
‘অপুর সংসার’ মুক্তি পেয়েছিল ১৯৫৯ এ। সুদীর্ঘ ষাটটি বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু কথাসাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের লেখনী সমৃদ্ধ সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় কালজয়ী ওই ট্রিলজি আজও বাঙালি মনে ছাপ ফেলে রেখেছে। শুধু বাঙালিই নয় অপু-দুর্গার পাঁচালি জায়গা করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক মহলেও।
‘অপু’-র মতো এমন একটি স্পর্শকাতর চরিত্রকে নিয়ে আবার নতুন ভাবে কাজ করা নিয়ে পরিচালক শুভ্রজিৎ জানালেন, “সত্যজিত রায়ের ‘অপু’-র সঙ্গে তুলনার কোনও প্রশ্নই উঠে না।সত্যজিৎ যে মাইলস্টোন পুঁতে রেখেছিলেন তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনই মূল উদ্দেশ্য। নিজের মতো করে বানানোর চেষ্টা করছি। দর্শক হন বা সিনেমার ছাত্র, অপুর জার্নি প্রত্যেক বাঙালির মধ্যে রোমাঞ্চ এনেছে। যখনই ছবিটি দেখেছি গায়ে কাঁটা দিয়েছে। অনেক রিসার্চ করেছি ছবি বানানোর আগে”।
অন্যদিকে, মধুর ভাণ্ডারকরের কথায়, “অপু এমনই একটি চরিত্র যাকে সারা পৃথিবী ভালবেসেছে। সত্যজিতের জায়গায় পৌঁছনোর মতো ক্ষমতা আমাদের নেই। একজন পরিচালক হিসেবে আমার মনে হয় আর একজন পরিচালক যা করতে চাইছেন তাতে উৎসাহ দেওয়া। বিভূতিভূষণের উপন্যাসে এমন অনেক চরিত্র রয়েছে যা সত্যজিৎ তাঁর ছবিতে দেখাননি। অপু এবং তাঁর ছেলে কাজলের মধ্যেকার সম্পর্কের কথাই বলবে এই ছবি”।
মধুরের আরও বক্তব্য, “যখন প্রথম এই কাজের কথা আমি শুনি আমার বেশ অবাকই লেগেছিল। পুরো ছবিটি সাদা কালোতে শুট হবে। নেটফ্লিক্স, ডিজিটালের যুগে একটি ছবি সাদা-কালোতে করার কথা ভাবা হচ্ছে। এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক সত্যজিতের কিছু ঝলক দেখাতে চেয়েছেন”।
আপাতত শুটিং-এর প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে।