কলকাতা: আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। আজকের দিনটি বাঙালিদের কাছে শুধু একটি দিন বা একটি বিশেষ দিনের ঘটনাপ্রবাহ নয়, আমাদের কাছে একুশ একটি আবেগ, একুশ গর্ব, একুশ ভালবাসার অনুভূতি, একুশ চেতনা। তবে এই চেতনাকে শিরায়, অন্তরে ধারণ করার মতো ক্ষমতা থাকতে হবে, ক্ষমতা হতে হবে ইতিহাস জেনে। মায়ের ভাষাকে অসম্মান করে, মাটিকে অসম্মান করে কেউ বড় হতে পারে না।
তাই মাতৃভাষাকে সম্মান দিতে হবে, মায়ের ভাষাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। অহং নয়, মাটির দিকে তাকাতে শিখুন।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে জয়া আহসান, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চঞ্চল চৌধুরিরা কী বললেন?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “একটাই শব্দ পাওনা আছে তোমার কাছে – যে কটা অক্ষর চাও, বেছে নাও। তোমার জন্যে রেখে গেলাম – প্রথম থেকে শেষ পাতা। তোমার জন্যে রেখে গেলাম – আ মরি বাংলা ভাষা…”
এপার ওপার বাংলার অভিনেত্রী জয়া আহসান লিখেছেন: “যে ভাষায় আমরা প্রতি মুহূর্তে বাঁচি, সেই বাংলা ভাষার দাবিকে রক্ত দিয়ে প্রতিষ্ঠা করার এই দিনটিকে শ্রদ্ধা জানাই। এই দিন কঠোর সংকল্পে নিজেকে জাগিয়ে তোলার দিন। বাংলা আমাদের ভাষা।
আর এই ভাষার নামেই তো আমাদের স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ। তবু এই ভাষাকে নিয়ে কত কিছু এখনো আমাদের করার বাকি রয়ে গেল। রাষ্ট্রে, সমাজে, শিক্ষায়। বাংলাকে নিয়ে আমাদের বহু পথ চলা এখনো বাকি। সে পথ আমরা সবাই মিলে নিশ্চয়ই পাড়ি দেব।
একুশে এখন সারা পৃথিবীর নিপীড়িত, পর্যুদস্ত, মুমুর্ষু ভাষার অনুপ্রেরণাও। সেই অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে বাংলাদেশের তরুণেরা, আজ থেকে একাত্তর বছর আগে। ভাবা যায়! পাহাড়ে আমাদের ক্ষুদ্র জাতিসত্তাদের ভাষাগুলো ভালো নেই।
পত্রিকায় পড়েছি, রেংমিটচ্য নামে একটি ভাষার মানুষ নাকি বেঁচে আছে মাত্র পাঁচ–ছয়জন। তাদের পর পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে একটি ভাষা। একটি ভাষা হারিয়ে যাওয়া মানে অনন্য একটি ফুলের বাগান উজাড় হয়ে যাওয়া, যা আর কখনোই ফিরে আসবে না।
আমরা কি কোনোভাবেই একে টিকিয়ে রাখতে পারি না? নানা ভাষা পৃথিবীকে যে বিচিত্র রঙে রাঙিয়ে তুলেছে, সেটা পৃথিবীজোড়া মানুষের বৈচিত্র্যেরই রং। একুশেতে মানুষের এই রঙিন পৃথিবীকে সালাম জানাই”।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী মায়ের একটি ছবি দিয়ে লিখেছেন: “মা….মাতৃভাষা….মাতৃভূমি…… সবাইকে মহান একুশে’র শুভেচ্ছা…. ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা…”।