
দক্ষিণের ছবি জগতের সুপারস্টার রজনীকান্ত সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেবেন না। স্বাস্থ্যজনিত কারণের জন্যেই তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বলে জানান।
তবে জনগণের কাজ করার জন্যে রাজনীতিতে প্রবেশ করতে হবে, এমন কোন কথা নেই। রজনীকান্ত রাজনীতিতে প্রবেশ না করলেও জনগণের জন্য কাজ করে যাবেন বলে মন্তব্য করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ৩ ডিসেম্বর রজনীকান্ত একটি নতুন দল খুলে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন।
২০২১ তামিলনাড়ু নির্বাচনকে পুরোপুরি মাথায় রেখেই নতুন রাজনৈতিক দল নিয়ে আসছেন বলে ডিসেম্বরের শুরুতেই ট্যুইট করেছিলেন রজনীকান্ত৷ তাঁর নতুন দলের আগমনী বার্তা তামিল রাজনীতিতে একদম শোরগোল ফেলে দিয়েছিল৷
তবে আাপাতত নিজেকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখারই সিদ্ধান্ত নিলেন। জানিয়ে দিলেন তিনি কোন রাজনৈতিক দল তৈরি করবেন না।
অভিনেতা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এবং কয়েকদিন চিকিৎসালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকতে হয় তাঁকে।
বর্তমান তিনি চিকিৎসালয় থেকে বাড়ি ফিরেছেন যদিও শারীরিক অবস্থার দিকে লক্ষ্য রেখেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।
রজনীকান্ত মঙ্গলবার টুইট করে তাঁর সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলছেন, তাঁর রাজনীতিতে আসা হয়তো ঠিক হবে না৷ সাম্প্রতিক শারীরিক অসুস্থতাকে রজনীকান্ত ভগবানের থেকে পাওয়া সতর্কবার্তা হিসেবে মনে করছেন৷ ৭০ বছরের অভিনেতা লিখলেন, "ভগবান আমাকে সাবধানবাণী দিলেন একটা৷ আমি দল করার পর যদি মিডিয়া এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করি, তাহলে আমি জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক আলোড়ন ফেলে নির্বাচনে বড় ব্যবধানে জিততে পারব না। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কেউই এই বাস্তবটা অস্বীকার করতে পারবে না। "
মূলত ২০১৭ সাল থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে রজনীকান্তের আসার ইচ্ছা৷ কিন্তু এবার শারীরিক অসুস্থতা তাঁকে দমিয়ে দিল।
তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কোন কাজ তিনি অর্ধেক করতে পারবেন না! এছাড়াও, যে মানুষগুলো তাঁকে বিশ্বাস করেছেন, তাঁদের তিনি বলির পাঁঠা বানাতে পারবেন না৷
তহবে যে অনুরাগী তথা ব্যক্তিরা পরিবর্তনের স্বার্থে রজনীকান্তকে ভোট দেবেন বলে ভাবছিলেন তাঁদের জন্যে আজকের এই খবরটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
প্রসঙ্গত, উচ্চরক্তচাপ জনিত সমস্যায় রজনীকান্তকে গত ২৫ ডিসেম্বর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে সেখানে ৪৮ ঘণ্টা ছিলেন তিনি৷ গুরুতর কোনও সমস্যা না-দেখায়
চিকিৎসকরা তাঁকে বাড়ি যাওয়ার অনুমতি দেন।
বর্তমান তাঁকে ওষুধ আর ডায়েটের ওপরেই থাকতে হবে৷ফলে এ সময়টা চাপ নেয়া উচিৎ নয় বলেই মনে করছেন তিনি।