Team #Gumnaami thanks the Honourable Calcutta High Court for this historic judgement and Rajdeep Mazumdar for arguing the case so articulately on the behalf of @prosenjitbumba and myself.
— Srijit Mukherji (@srijitspeaketh) September 25, 2019
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘গুমনামি’ মুক্তিতে আর কোনও বাধা নেই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের দেয়া ঐতিহাসিক রায়ে পরিচালক মহামান্য আদালতকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
‘গুমনামি’র ট্রেলার রিলিজের পরই সমালোচনায় চারদিক উত্তপ্ত হয়েছিল। ছবি ব্যান করে দেওয়ার জোর দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল।
এদিন সেই মামলার ভিত্তিতেই রায়দান করেছে হাইকোর্ট। এবং আদালত পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘গুমনামি’ রিলিজের ক্ষেত্রে আর কোনও নিষেধাজ্ঞা বহাল নেই। কোনওরকম বাধা ছাড়াই মুক্তি পেতে পারে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ওপর করা এই ছবি।
The PIL case against the release of #Gumnaami at Calcutta High Court has been dismissed. The Honourable Justice Samaddar said how can you accuse anyone of distorting facts when no fact has been established beyond doubt about Netaji's disappearance?
— Srijit Mukherji (@srijitspeaketh) September 25, 2019
এমনকি টিজার রিলিজের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আইনি নোটিস পান পরিচালক। আইনি চিঠি পাঠান দেবব্রত রায় নামের জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে শ্যুটিং বন্ধের আবেদন জানান তিনি। নয়তো প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও সাফ জানান ওই দেবব্রত রায়।
গুমনামি’র টিজার রিলিজের মধ্যে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছিল পরিচালক সৃজিত মুখার্জীকে। পাঠিয়েছিলেন দেবব্রত রায় নামক জনৈক ব্যক্তি।
তাঁর মত অনুযায়ী, ছবির টিজারে যে ভাবে গুমনামি বাবাকে দেখানো হয়েছে তা কাল্পনিক, আরোপিত। রায়বাবুর অভিযোগ ছিল, এর ফলে নেতাজির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে।
তাই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে পাঠানো আইনি নোটিসে তিনি লিখেছিলেন, এই ছবি দেশবাসীর মধ্যে নেতাজির সম্পর্কে ভুল বার্তা ছড়াবে। তাই অবিলম্বে শ্যুটিং বন্ধ করা হোক। দেবব্রত রায়ের পূর্বে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর প্রপৌত্র চন্দ্র বসু প্রচণ্ড আপত্তি করেছিলেন।
কিন্তু সব বাধা পেরিয়ে জয়ের মুখ দেখল গুমনামি। আদালতের এই প্রশংসনীয় রায়ে উচ্ছ্বসিত টলিউড মহলসহ বাংলা সিনেমাপ্রেমীরা।
এদিন শ্যামবাজারের মোড়ে নেতাজির স্ট্যাচুর সামনে এই এলাকা নিয়ে নিজের ব্যক্তিগত স্মৃতি রোমন্থন করলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়।