ইচ্ছে থাকলে পঙ্গুও গিরিলঙ্ঘন করতে পারে। হ্যাঁ, এমনটাই করে দেখিয়েছেন বরাক উপত্যকার শিলচরের দুই উদীয়মান যুবক।
দুই উদীয়মান যুবক হচ্ছেন শিলচরের অভিনেতা কণাদ ভট্টাচার্য এবং আলোকচিত্রী প্রণব শীল। তাঁরা দু’জন কয়েকবছর আগে স্বপ্ন দেখেছিলেন যে বরাক উপত্যকা থেকেও যদি একটি বাংলা ছবি তৈরি করা যায়।
প্রায় ৪ বছর আগে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ছবির কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু কাজের পথে বিভিন্ন বাধাবিপত্তি আসায় একসময়ে তা থমকে দাঁড়ায়।
এরপরে, বরাকের এক সমাজকর্মী তথা ‘যুক্ত’ ফাউন্ডেশনের প্রধান সুবিমল ভট্টাচার্য ছবি তৈরি করতে দুই যুবককে উৎসাহ জোগান। সাহায্যের হাতও বাড়িয়ে দেন। পাশাপাশি তিনিও সেই স্বপ্নের ভাগিদার হন। তিনিও তখন চাইছিলেন যে, বরাক থেকে একটি ছবি তৈরি হউক।
আর এরপরই ফের শুরু হয় ছবির কাজ।
ইতিমধ্যে ছবির কাজ সম্পন্ন হয়ে আজ অর্থাৎ বুধবারই মুক্তি পেতে চলেছে বরাকবাসীর বহু প্রত্যাশিত প্রথম বাংলা ছবি ‘রাহু’।
বুধবার বিকেল ৫টায় শিলচরের রাজীব ভবনের কনফারেন্স হলে প্রথম শো এবং সন্ধ্যা ৭ টায় দ্বিতীয় শো দেখানো হবে।
ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন কণাদ ভট্টাচার্য। ছবির কাহিনিও লিখেছেন খোদ কণাদ। পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রণব শীল আর সিনেমাটোগ্রাফার দেব দত্ত। প্রোডাকশনের দায়িত্বে ‘যুক্ত’ ফাউন্ডেশনের কর্ণধার সুবিমল ভট্টাচার্য।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বরাকের বেশকিছু কলা-কুশলীরা।
ছবির শ্যুটিং-র বেশির ভাগ অংশ বরাকেরই।
তবে, ছবির এডিটিং থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল কাজ সমস্ত কিছু করা হয়েছে সুদূর মুম্বইতে।
ছবির সংগীত পরিচালনা করেছে কলকাতার বিখ্যাত বাংলা গানের দল ‘ক্যাকটাস’। ‘রাহু’র টাইটেল সং গেয়েছেন জনপ্রিয় গায়ক সিধু।
৪০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই ছবিতে গল্পটি সাজানো হয়েছে এমনভাবে, ‘একটি শিশুর উপর তাঁর অভিভাবকরা ইচ্ছেপূরণের বিপক্ষে গিয়ে পড়াশোনা করা নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে, সেই শিশুটির মস্তিষ্ক বিকৃত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত হয়ে যায় সে’। আর শেষে শিশু ও তাঁর পরিবারবর্গের সঙ্গে কি ঘটনা ঘটে তা জানতে অবশ্যই দেখতে হবে ‘রাহু’।