দেশে যে কোন ইতিবাচক কাজ করার লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়ে কারা না সমালোচনা, বাধার সম্মুখীন হয়েছেন? রাজা রামমোহন রায় থেকে শুরু করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু সকলে। তা বলে তো আর পরোপকারী, মহান পুরুষদের সামাজিক কাজকর্ম থেমে থাকেনি! বরং তাঁরা আরো উৎসাহিত হয়ে কোমর বেঁধে কাজে নেমেছেন। সমাজ সেবা করে ভারতের জনগণের মনে তেজস্বী, আদর্শের বীজ বপন করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন তাঁরা, তবে মন থেকে কখনোই নয়।
এবার জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে দেয়া হল হত্যার হুমকি!
জনৈক এক ব্যক্তি ইন্টারনেটে একটি সাইটে লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে একজন পরিচালকের ছবি তৈরি করার এবং দেখানোর যেমন অধিকার রয়েছে, তেমনই কি দেশের মানুষেরও তাঁর মাথা ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে? এটাও মানুষের আবেগের বহিঃপ্রকাশ। সেটা কে নির্ধারণ করবে?’
এর পরেই সৃজিত সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখেছেন, ‘গুমনামির জন্য নতুন হুমকি। আমরা যদি এখনই ছবিটা রিলিজ করতে পারতাম। কে বলতে পারে, কাল হয়তো আমার মাথাটাই থাকবে না।’
এ বিষয়ে পরিচালক জয়েন্ট সিপি এবং লেক থানার ওসির সঙ্গে কথা সঙ্গে আলোচনা করে সাইবার সেলে সামান্য অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে তাতে কি এসে যায়? যে দেশবাসীর মজ্জায় মজ্জায় রয়েছেন নেতাজী, তাঁর আবার ভয় কিসের?
বিখ্যাত টলিউড অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়ে অসাধারণত্ব লাভ করেছে সৃজিত মুখার্জীর ‘গুমনামি’।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রের ১ মিনিট ৯ সেকেণ্ডের টিজার। তাতেই মুগ্ধ সিনেমা প্রেমীরা! শোনা যাচ্ছে, প্রসেনজিতের গলার গম্ভীর স্বাধীনতা সংলাপ, “স্বাধীনতা কোন ভিক্ষা নয়, আমাদের অধিকার।”
ছবিতে দেখা যাবে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। যার চরিত্রের নাম চন্দ্রচূড় ধর। যিনি নেতাজি সুভাষকে নিয়ে একটি বই লিখেছেন এবং গবেষণাও। মহাত্মা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুরেন্দ্র রঞ্জন।
দোসরা অক্টোবর একদিকে গান্ধী জয়ন্তী অপরদিকে চতুর্থী। একদিকে মা দুর্গার অসুর নিধন অপরদিকে স্বাধীনতার মন্ত্রোচ্চারণ!
ফেটে পড়বে দেশের প্রেক্ষাগৃহ।