“আমি গর্বিত বাংলার সাহিত্য, কবিতা, গান, বাংলার জীবন যাপন নিয়ে। আর যা কিছু বাংলার, যা কিছু বাঙালির তাই নিয়েই বাংলা সিনেমা। বাংলা কে বাঁচাতে হলে, বাঙালিকে বাঁচাতে হলে, বাংলা সিনেমাকে বাঁচাতেই হবে। আসুন আমরা সবাই বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়াই। এই মুহূর্তে এটাই সবথেকে জরুরি কাজ।”
আগামি ২ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে দেব-রুক্মিনীর ‘পাসওয়ার্ড’। কিন্তু তার পূর্বক্ষণেই দেখা গেল হল না পাওয়ার বিপত্তি। এর চেয়ে আশ্চর্যজনক এবং দুর্ভাগ্যের বিষয় আর কিছু নেই।
টলিউডি অভিনেতা দেব দর্শকদের বাংলা চলচ্চিত্রের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
রাজ্যের সিনেমা হল মালিকদের উদ্দেশে অভিনেতা আহ্বান জানিয়েছেন, “হিন্দি ছবির থেকে বেশি নয় অন্তত সমান সুযোগ আমাদের দিন। লড়াইটা অন্তত সমানে সমানে হোক। বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান।”
তাহলে কি এনআরসি, কাশ্মীর ইস্যু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাঙালি এখন যেভাবে মাথা ঘামাচ্ছে তাতে পুজোর ছবি নিয়ে ভাবার সময় পাচ্ছে না?
প্রশ্নের উত্তরে দেব জানালেন, অন্যান্য সামাজিক বিষয়ের মতো ‘পাসওয়ার্ড’একটি সামাজিক বিষয় নিয়েই ছবি। বাকি বিষয়গুলোকে তো আলাদা করা হচ্ছে না, পাসওয়ার্ড-কে কেন?
তিনি বললেন “দেখুন রাজনীতি যাঁরা করেন বা সবসময় রাজনীতি নিয়েই যাঁরা কথা বলতে ভালোবাসেন তাঁদের সংখ্যাটা কিন্তু বেশ কম। অন্যদিকে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ আছেন যাঁরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন। তাঁরাও তো আমার দর্শক। আমি বলতে চাইছি পুজোর আগে যাঁরা জামাকাপড় বিক্রি করছেন, প্রতিমা বানাচ্ছেন, যাঁরা এত টাকা খরচ করে প্যান্ডেল তৈরি করছেন সেইসব কি থামিয়ে দেবেন? সেটা তো হয় না। সবাই সবার কাজটা কিন্তু ঠিকই করে চলেছেন। আমার ছবির মধ্যেও তো একটা সোশ্যাল ইস্যু রয়েছে। সবকিছু নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।”
দেব জানাচ্ছেন, তিনি একটি অন্যমাত্রার ছবি তৈরি করেছেন। সাইবার ক্রাইম আজকাল অহরহ হচ্ছে। সে তরতাজা বিষয়টি নিয়েই তাঁর ছবি ‘পাসওয়ার্ড’ ।
চারদিকে রীতিমতো চর্চা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। এমনকি দেব ছবির ব্যাপারে এতটাই উৎসাহী যে, বলিউড ‘পাসওয়ার্ড’ এর স্বত্ব কিনতে চাইলে দেবের চেয়ে খুশি কেউ হবে না বলেও জানিয়েছেন।
দর্শকদের প্রতি অগাধ বিশ্বাস জনপ্রিয় অভিনেতা দেবের। সেই বিশ্বাস থেকেই তিনি দর্শককে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে অনুরোধ করলেন। ‘পুজোয় বাংলা ছবি হল পাচ্ছে না, এর থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না।’