১৬ জুন, বিশ্ব পিতৃ দিবস । এবং ঘটনাচক্রে আজ খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, সংগীত পরিচালক, প্রযোজক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ১০০ তম জন্মদিবস । হিন্দি সংগীতজগতে যিনি হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ ।
চোখের জলে আদর্শ পিতার স্মৃতিচারণ করলেন কন্যা রাণু ।
পিতার জন্মবার্ষিকীতে মনে পড়ে গেল বহু পুরনো কথা । ‘পুরানো সেই দিনের কথা, ভুলবি কি রে হায় ‘ ।
বাবার স্মৃতিচারণে এল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রসংগ ।
বললেন, ‘ শুনেছি, জেলবন্দি অবস্থায় বাবার গান গাইতেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই আমরা যখন সপরিবারে সেখানে যাই, মনে আছে বাবাকে দেখে তাঁর চোখে জল। বাবার শেষের দিকের লাইভ অনুষ্ঠানেও বহু দর্শককেও দেখেছি চোখ মুছতে’। কি আবেগঘন এক এক্তি মুহূর্ত !
এক অসাধারণ গায়ক হওয়ার পাশাপাশি বাবা ছিলেন একজন কৃতী সুরকারও। বাণী জয়রাম আমায় বলেছিলেন, ‘রাণু তোমার বাবার দেওয়া সুরের তুলনা নেই। তাঁর সুর আজও আমাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়।’
যতদিন এই পৃথিবী বেঁচে থাকবে, ততদিন বেঁচে থাকবেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায় প্রত্যেক বাঙালির অন্তরে; বিশ্ববাসীর অন্তরে ।
রাণু মুখোপাধ্যায় আরো যোগ করলেনঃ,
‘অনেকে জিজ্ঞাসা করেন, বাবার উত্তরাধিকার কী ভাবে বাঁচিয়ে রাখা যায়? ১৬ জুন দিনটাকে আলাদা করে দেখি না। আমার কাছে বাবা প্রতিদিনই জীবিত। ইন্টারনেট যুগে বাবার বহু গান এখন শ্রোতাদের কাছে সহজলভ্য। মরমি শ্রোতারা তাঁকে চিরদিন মনে রাখবেন’।
বাঙালির চোখের মণি হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের দু-সন্তান-পুত্র জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়, কন্যা রাণু মুখোপাধ্যায় ।
রাণু মুখোপাধ্যায় ১৯৬০-৭০ এ গান গাইতেন ।
‘নর্থ ইস্ট নাও’ চ্যানেলের পক্ষ থেকে গায়ক/পিতা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে জানানো হল গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি ।