গুয়াহাটিঃ গত মঙ্গলবারে প্ৰয়াত হলেন ১১৮ বছর বয়সের বৃদ্ধা লুসিল রেন্ডন(Lusile Randon)। তাঁর জন্ম ১৯০৪ সালের ১১ ফেব্ৰুয়ারিতে হয়।
গত বছর ১১৯ বছরের জাপানের কেন তানাকার মৃত্যুর পর রেন্ডনই (Lusile Randon)ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ। জেরন্টলজি রিসার্চ গ্ৰুপের (জিআরবি) ওয়র্ল্ড সুপারসেন্টেনরিয়ান র্যাঙ্কিং মতে তিনি ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি।
২০২২ সালের এপ্ৰিলে গিনিজ ওয়র্ল্ড রেকর্ডে তাঁকে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। নিউইয়র্কে প্ৰথম সাবমেট্ৰো উদ্বোধন করার সময় তাঁর জন্ম হয়। তখনও প্ৰথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়নি। দক্ষিণ ফ্ৰান্সের আলসাস শহরের প্ৰটেস্টেন্ট পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। সেখানেই তিনি বড় হন। ২৬ বছর বয়সে তিনি ক্যাথলিক হিসেবে জীবনের পথ বেছে নেন। তারপর তাঁর নাম বদলে হয় সিস্টার আন্দ্ৰে(Sister Andree)। ৪১ বছর বয়সে ফ্ৰান্সের (France) একটি হাসপাতালে তিনি (Lusile Randon) চাকরি পান। সেখানেই ৩১ বছর কাজ করেন। ২০২১ সালে কোভিডে আক্ৰান্ত হওয়ার পর তাঁর (Lusile Randon) স্বাস্থ্যের অবনতি হয়।
কিছুদিন আগে তিনি (Lusile Randon) সংবাদ মাধ্যমে বলেছেন- কর্ম এবং মানুষকে সাহায্য করার মনোভাব তাঁকে বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। মানুষ বলে যে কর্মা মানুষের আয়ু কমিয়ে দেয়। কিন্তু তাঁর ক্ষেত্ৰে কর্মই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তিনি ১০৮ বছর পর্যন্ত কাজ করেছেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ঘুরে ফিরে বিশ্বযুদ্ধের সময় ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা তিনি মনে করে বলতে থাকেন।
পরের দিকে তাঁর (Lusile Randon) চোখের দৃষ্টিশক্তি চলে গিয়েছিল। তবুও তিনি জীবনমুখী মনোবল এবং ইতিবাচক জীবন যাপন করেছিলেন। এভাবেই ১১৮ টি বছর পৃথিবী থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বিভিন্ন ঘটনা, সমাজের পরিবর্তনের সাক্ষী হন তিনি। গত ১৭ জানুয়ারি সেন্ট ক্যাথরিন লেবরে নার্সিং হোমে (Sainte Catherine Laboure) ঘুমের মধ্যেই একেবারের জন্য চোখ বন্ধ করলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্কা (World’s oldest known person) নারী লুসিল রেন্ডন(Lusile Randon)।