নয়াদিল্লিঃ রাশিয়া-ইউক্ৰেন যুদ্ধ শেষ করার ইঙ্গিত দিলেন রুশ প্ৰেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন- ‘খুব তাড়াতাড়িই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) শেষ হবে’। পাশাপাশি তাঁর দাবি- সামরিকভাবে রাশিয়াকে (Russia) দুর্বল করতে ইউক্রেন(Ukraine)কে ব্যবহার করছে আমেরিকা(America)।
পুতিনের মতে, যেকোনও উপায়ে এই যুদ্ধ শেষ করতেই আগ্রহী তিনি। কিন্তু ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelensky) একগুঁয়েমির কারণেই যুদ্ধ বন্ধের উপায় বের করা যাচ্ছে না। বরং দোনবাস অঞ্চলে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেন(Ukraine)য় সেনা।
পুতিনের সাফ কথা- “এই যুদ্ধ বন্ধ করাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা বহুদিন ধরেই এই চেষ্টা করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, যেভাবেই হোক, এই যুদ্ধ থামাতে চেষ্টা করছি।” সামরিক লড়াই থামিয়ে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে হলেও যুদ্ধ বন্ধ করার কথা উঠে এসেছে পুতিনের মন্তব্যে।
এরই মধ্যে মার্কিন সফর সেরেছেন ইউক্ৰেন প্ৰেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির (Volodymyr Zelensky)। BBC-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের সম্মুখভাগ পরিদর্শনে যান জেলেনস্কি। এরপর সেখান থেকেই ওয়াশিংটনে উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন তিনি। রাতভর ট্রেন যাত্রা শেষে পোল্যান্ড পৌঁছান তিনি। সেখানে মার্কিন বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে চড়েন জেলেনস্কি। উড়োজাহাজটির নিরাপত্তায় ছিল ন্যাটোর একটি গোয়েন্দা উড়োজাহাজ ও একটি এফ-১৫ যুদ্ধবিমান।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin) বলেছেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধের দ্রুত অবসান চায় তাঁর দেশ। তবে পুতিনের অভিযোগ, কিয়েভ ও ওয়াশিংটন তাতে সাড়া দিচ্ছে না। বরং, রাশিয়া(Russia)কে দুর্বল করে দিতে ইউক্রেন(Ukraine)কে যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুক্তরাষ্ট্র।
মুখে যুদ্ধ বন্ধ করলেও ইউক্রেনে(Ukraine) লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ সেনা। লাগাতার আক্রমণ চালিয়েও ইউক্রেন দখল করতে বাধ্য হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন(Vladimir Putin)। প্রায় দশ মাস ধরে যুদ্ধ চলার পরে কৌশল বদলে ঘুরপথে আক্রমণ চালাবে রাশিয়া, এমনটাই আন্দাজ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই মতোই ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে, যেন শীতের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে প্রাণ হারান সাধারণ ইউক্রেনীয়রা। সামরিক সাফল্য না পেয়েই এখন যুদ্ধ বন্ধের কথা বলছেন পুতিন, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।