নয়াদিল্লিঃ বন্ধ হয়নি রাশিয়া-ইউক্ৰেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী। বুধবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় এই অভিযোগ করলেন মার্কিন President Joe Biden। রুশ দখলমুক্ত এলাকায় একের পর এক গণকবরে মেলা দেহে অত্যাচারের চিহ্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ফৌজের ‘নির্লজ্জ আচরণের’ প্রমাণ বলে জানিয়ে বাইডেন বলেন, ‘‘রুশ বাহিনী ইউক্রেনের স্কুল, রেল স্টেশন এবং হাসপাতাল আক্রমণ করছে। মস্কোর অন্যতম লক্ষ্য হল, একটি রাষ্ট্র হিসাবে ইউক্রেনের পৃথক অস্তিত্বের অধিকারকে নির্মূল করে দেওয়া।’’
Mr. Biden ঐ যুদ্ধকে নৃশংস এবং অপ্রয়োজনীয় বলেও বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, Mr. Putin বুধবার ইউরোপের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য পরমাণু হুমকি দিয়েছেন। সারা বিশ্বকে রাশিয়ার ভয়ানক কর্মকাণ্ডগুলি নজরে রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদের মূল নীতি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ তুলেছেন Americaর প্রেসিডেন্ট। তাঁর অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে Putinএর বাহিনী ইউক্রেনের জনতাকে নিশানা করছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ইউক্রেন সেনা রুশ বাহিনীর কবল থেকে মুক্ত করা খারকিভ প্রদেশের ইজিয়ুম শহর এবং আশাপাশের এলাকার গণকবর থেকে বহু দেহ উদ্ধার করেছে। আর মধ্যে অধিকাংশ দেহেই অত্যাচারের চিহ্ন রয়েছে।
পুতিন বুধবার ইউক্রেন সীমান্তে অশান্তির কারণে বড় ধরনের সেনা সন্নিবেশের ঘোষণা করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পর্বে জোসেফ স্তালিনের পর এই প্রথম কোনও রুশ প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিক ভাবে সেনা সমাবেশের ঘোষণা করলেন। পাশাপাশি, আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলি দীর্ঘ দিন ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে চক্রান্ত চালাচ্ছে অভিযোগ তুলে পুতিন বলেছেন, ‘‘আঞ্চলিক অখণ্ডতার উপর কোনও আঘাত এলে রাশিয়া চুপ করে থাকবে না। প্রয়োজনে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ হবে।’’
Putinএর এই বক্তব্যকে পরমাণু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপুঞ্জে মার্কিন President Joe Bidenএর বক্তৃতা সঙ্ঘাতকে নতুন মাত্রা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।