নয়াদিল্লিঃ চলতি বছরের ফেব্ৰুয়ারি মাসে দক্ষিণ মেরুসাগরে ক্ৰমশ বরফ গলার পরিমাণ বেড়েছে। এত কম বরফ আগে কখনও দক্ষিণ মেরুসাগরে ছিল না, স্বাভাবিকভাবেই মেরুবিজ্ঞানীরা উদ্বেগ প্ৰকাশ করেছেন।
এমনটা চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মেরুসাগর বরফশূন্য হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের(Antarctic sea ice) বরফ ছয় বছরের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার রেকর্ড হারে নিম্ন স্তরে পৌঁছেছে। স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণে জানা যাচ্ছে, গত চার দশকে গত সপ্তাহের তুলনায় মহাদেশের চারপাশে কখনও কম বরফ এতোটা কমেনি।
উপগ্ৰহ চিত্ৰ (Satellite picture) পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, গত ১২ ফেব্ৰুয়ারি দক্ষিণ মেরুসাগরের উপর ভাসমান বরফের স্তর ১.৭৯ মিটার স্কোয়ার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছিল। এতদিন পর্যন্ত ২০২২ সালের ২৫ ফেব্ৰুয়ারি সবচেয়ে কম বরফ ছিল মেরুসাগরে। ওই দিন ভাসমান বরফের পরিমাণ ছিল ১.৯২ মিটার স্কোয়ার কিলোমিটার। মেরুপ্রদেশ বরফ গলার পরিমাণ কতটা, তা যাচাই করতে ১৯৭৯ সাল থেকে উপগ্রহচিত্রের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গত শনিবার ‘দি গার্ডিয়ান’ পত্ৰিকায় প্ৰকাশিত একটি প্ৰতিবেদনে জানানো হয়, দক্ষিণ মেরুসাগরে এত কম পরিমাণ বরফ আগে কখনও ছিল না। বিজ্ঞানীদের একটা বড় অংশের দাবি, বিশ্ব উষ্ণায়নের (Global Warming) ফলেই বরফ গলছে।