নয়াদিল্লিঃ চলে গেলেন Britainএর রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (Queen Elizabeth II)। বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে প্রয়াত হন তিনি। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দিন সিংহাসনে থাকার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। ব্ৰিটেনের রানির প্রয়াণের সঙ্গে সঙ্গে একটি যুগের অবসান হল।
বৃহস্পতিবার Queen Elizabeth IIর অসুস্থতার খবর পেয়েই স্কটল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছিলেন রাজপরিবারের সদস্যরা। সিংহাসনের পরবর্তী দাবিদার প্রিন্স চার্লস (Prince Charles) এবং তাঁর স্ত্রী ক্যামিলা (Camilla), রানির কন্যা অ্যানে (Anne) উপস্থিত ছিলেন এলিজাবেথের পাশে।
ব্রিটেনের স্থানীয় সময় দুপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি। দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্কটল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছেন যুবরাজ হ্যারি এবং যুবরানি মেগান। গত দু’ দিন ধরেই রানির শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন চিকিৎসকরা। তবে দেশের মানুষকে শান্ত রাখার জন্য রাজপরিবারের তরফ থেকে বারংবার জানান হয়, ভাল আছেন রানি। কিন্তু লড়াই স্থায়ী হয়নি।
দীর্ঘ ৭০ বছর ব্রিটেনের সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে Liz Trussকে নিয়োগ করেছিলেন রানি এলিজাবেথ। তার একদিন পরেই চলে গেলেন। তিনি যেন Liz Trussকে নিয়োগ করার জন্যই অপেক্ষা করছিলেন। সিংহাসনে বসার পর থেকে ব্রিটেনের ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেছিলেন তিনি। প্রথা ভেঙে বাকিংহামের পরিবর্তে বালমোরাল প্রাসাদে বসেই লিজকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন রানি। সেই ছবিতে স্পষ্ট ধরা পড়েছিল তাঁর অসুস্থতা।
বৃহস্পতিবার তাঁর অসুস্থতার খবর পেতেই বালমোরাল প্রাসাদে ছোটেন চার ছেলে-মেয়ে— যুবরাজ চার্লস (৭৩), রাজকুমারী অ্যান (৭২), যুবরাজ অ্যান্ড্রিউ (৬২), যুবরাজ এডওয়ার্ড (৫৮)। চার্লসের বড় ছেলে যুবরাজ উইলিয়ামও পৌঁছে যান। সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এসেছেন উইলিয়ামের ভাই হ্যারি এবং তাঁর স্ত্রী মেগান। রাজপরিবারের সংসর্গ ছেড়ে এখন আমেরিকায় থিতু হয়েছেন হ্যারি এবং মেগান।
১৯৫৩ সালে মাত্র ২৫ বছর বয়সে ব্রিটেনের রানি হিসাবে অভিষেক হয় (Queen Elizabeth II)দ্বিতীয় এলিজাবেথের। রাজপরিবারের সরাসরি উত্তরাধিকারী হওয়ার সূত্রেই তাঁর মাথায় উঠেছিল রানির মুকুট। Bratainএর শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার পাশাপাশি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল রানির সাজপোশাকও। মাঝে মাঝে রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কার্যকলাপের ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হলেও রাজপরিবারের হাল ধরেছেন দক্ষ হাতে। তাঁর মৃত্যুতে ব্রিটেনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।