গুয়াহাটিঃ (North Korea) উত্তর কোরিয়ার সর্বেসর্বা কিম জং উন নিজের দেশের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে সম্প্রতি বড়ো ঘোষণা করলেন । উত্তর কোরিয়া নিজেকে পারমাণবিক অস্ত্ৰধারী রাষ্ট্ৰ বলে ঘোষণা করে বৃহস্পতিবারই দেশটির সংসদ সদস্যরা একটি আইন পাস করেছে। সেই আইন অনুযায়ী, যদি দেশের নেতার উপর হামলা করা হয় তাহলে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনীকে অবিলম্বে শত্রু বাহিনীর বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারবে।
North Koreaর সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ-র উদ্ধৃতি দিয়ে একথা প্ৰকাশ করেছে সংবাদ সংস্থা বিবিসি। উত্তর কোরিয়ার নতুন করে গৃহীত আইন অনুসারে আত্মরক্ষার ক্ষেত্ৰে পারমানবিক হামলার অধিকার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
কিম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে মোকাবিলা করতে আমার দেশের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের প্রয়োজন। তাই এগুলি কখনোও ত্যাগ করবে না উত্তর কোরিয়া।’ কিমের অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষাকে দুর্বল করতে এবং তাঁর সরকারের পতনের লক্ষ্যে একটি চাপ সৃষ্টি করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা।
North Koreaর রাষ্ট্রীয় মিডিয়া শুক্রবার বলে যে কিম বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার ‘রাবার-স্ট্যাম্প’ সংসদে একটি বক্তৃতার সময় মন্তব্য করেন যে তাঁর দেশ কোনওদিন পরমাণু অস্ত্র ত্যাগ করবে না।
এর আগে গত জুন মাসেই উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হয় ৮টি ব্যালিস্টিক। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন তাঁর সবচেয়ে বড় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ICBM) সহ বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছেন।
২০০৬ সালে যখন উত্তর কোরিয়া প্রথমবার পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়। তখন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়াকে ‘শাস্তি’ দিয়েছিল। এই আবহে সাম্প্রতিক কালেও উত্তর কোরিয়ার উপর আরও বেশি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানানো হয়েছিল আমেরিকার তরফে। তবে চিন এবং রাশিয়া ভোট দিয়েছিল সেই প্রস্তাবনায়।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ঙ ২০০৬ এবং ২০১৭ সালের মধ্যে ৬টি পারমানবিক পরীক্ষা করেছিলেন। ২০১৯ সালে তদানিন্তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্ৰের President Donald Trumpএর সঙ্গে দুই পর্যায়ের মীমাংসাহীন বৈঠক হয়। তারপরও কিম জং উন দীর্ঘ দূরত্বের মিসাইল উৎক্ষেপন করেন এবং পারামানবিক পরীক্ষা চালান। সেই থেকেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হয়ে পড়ে।