নয়াদিল্লিঃ সামরিক-চালিত Myanmarএর একটি আদালত দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন নেতা এবং নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অং সান সু কি-কে দুর্নীতির জন্য অতিরিক্ত তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
দুর্নীতির আরও একটি মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন Aung San Suu kyi। বুধবার তাঁকে তিন বছর জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। ফলে Myanmarএর জেলবন্দি নেত্রীর কারাবাসের মোট মেয়াদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বছর। অভিযোগ, রাজনীতি থেকে সু কি’কে দূরে রাখতে এটা জুন্টার ষড়যন্ত্র।
সংবাদ সংস্থা ANI সূত্ৰে খবর এদিন রাজধানী নাইপিদাওর একটি ডিটেনশন সেন্টারে Suu kyi-র শুনানি হয়। জুন্টা নিয়ন্ত্রিত জেলটিতে রায় ঘোষণা করে মান্দালয় প্রদেশ হাই কোর্ট। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২১ সালে Aung San Suu kyi-র বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন মাউং ওয়েইক নামের এক ব্যবসায়ী (Local Tycoon)। সামরিক জুন্টার কাছে তিনি জানান, ২০১৮ ও ২০২০ সালে সু কি-র সঙ্গে চারবার দেখা হয় তাঁর। সেসময় কউন্সিলর সু কি-কে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দেন তিনি। তবে, টাকা লেনদেনের সময় সেখানে আর কেউ ছিল না বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বার্মিজ সেনার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে মাউং ওয়েইক নামের ওই ব্যবসায়ীর। সেনাবাহিনীর একাধিক জেনারেল পদমর্যাদার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে তাঁর। ফলে এই মামলার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই Myanmarএর ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি Myanmarএর নেত্রী Aung San Suu kyi।