নয়াদিল্লি: রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া ধর্মীয় নেতা মোকতাদা আল-সদর (Moqtada al-Sadr).
জানা গেল,রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার জন্যে সোমবার তথা ২৯ আগস্ট Moqtada al-Sadr এই ঘোষণা দিয়েছেন।বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে বলছে, এ ঘোষণায় অস্থিতিশীলতা আরো ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে।
টুইটারে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে মোকতাদা আল-সদর Moqtada al-Sadr বলেছেন, আমি রাজনীতি থেকে চূড়ান্তভাবে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছি।সংস্কারে তার দেয়া পরামর্শ অনুসরণ করতে ব্যর্থ হওয়া দেশের শিয়া রাজনীতিবিদদের তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য যে, জানা গিয়েছে, মোকতাদা আল-সদরের এহেন ঘোষণার জন্যে আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ইরাকের রাজনৈতিক পরিস্থিতি।
মোকতাদার সমর্থকরা গ্রিন জোনে অবস্থিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ভেতর ঢুকে পড়ে, সেখানে ভয়ঙ্কর তাণ্ডবও চালায়।
টুইটারে প্রকাশিত বিবৃতিতে শিয়া নেতা তাঁর বিরোধী দলগুলোর সমালোচনা করেছেন। দাবি করেছেন, তারা তাঁর কথা একেবারেই শোনেননি।
এদিকে আবার জুলাই থেকে ইরাকের সংসদের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করছেন মোকতাদা আল-সদরের Moqtada al-Sadr সমর্থকরা। ওই মাসের শেষ দিকে যখন ইরাকের বিরোধী দলগুলো নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার চেষ্টা চালায় তখন সংসদে ঢুকে পড়েন তাঁর সমর্থকরা।
আর মোকদাতা আল-সদর Moqtada al-Sadr রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা বিরোধী দলের সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে মোকতাদা আল-সদরের Moqtada al-Sadr সমর্থনকারীরা বেশিরভাগ আসনে জয় পায় যদিও তারা সরকার গঠন করতে পারেনি।
জুনে গণহারে নিজের সমর্থনকারীদের পদত্যাগের নির্দেশ দেন আল-সদর।
মঙ্গলবার ইরানের সুপ্রিম কোর্ট ঘোষণা করবে, ইরাকের বর্তমান সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে কিনা।
ইরাকে রাজনৈতিক সঙ্কট ক্রমশ আরো খারাপ পরিস্থিতির দিকে চলে যাচ্ছে।সে দেশে কোনো সরকার না থাকায় জনগণের নিরাপত্তা নিয়েও বাড়ছে চিন্তা।