সাজ সাজ রব উঠেছে নিউইয়র্কে। ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’এর উদ্যোগে ২৮ তম বাংলা গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে নিউইয়র্ক শহরে।
কবি জসিমুদ্দিন আলি আহমেদ বলেছিলেন ‘বই জ্ঞানের প্রতীক, বই আনন্দের প্রতীক’। সত্যিই তাই, বই মেলায় কেউ বই কেনে, কেউ ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু তাঁর আনন্দ স্বর্গীয়, অতি চমৎকার।
নিউইয়র্কে ১৪, ১৫ এবং ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশন’ আয়োজিত ২৮ তম বইমেলা। বইমেলায় থাকছেন পশ্বিচিমবংগ এবং বাংলাদেশের বিশিষ্ট লেখক, প্রকাশক ও শিল্পীরা। সেই সঙ্গে থাকছেন উত্তর আমেরিকা এবং বাইরের বিশ্বে বসবাসরত বহু বাঙালি বিখ্যাত লেখক এবং সাহিত্যপ্রেমিক।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ এবং বহির্ভারতে সবচাইতে দীর্ঘস্থায়ী এবং বৃহত্তম গ্রন্থমেলা হচ্ছে নিউইয়র্কে আয়োজন করা ‘মুক্তধারা ফাউন্ডেশনে’র এই গ্রন্থ মেলা।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশন এর অবদান উল্লেখযোগ্য। তাঁরা জানিয়েছেন যে, বাঙালির বইমেলা হল প্রাণের মেলা। সেখানে মিলিত হওয়ার আনন্দই প্রধান। যে কোন সূত্রে যুগে যুগে মানুষের মিলনই বড় কথা। মেলায় বই কেনার গরজেই সবাই আসে না, আসে সাংস্কৃতিক পীঠস্থান , উৎসবে মিলিত হওয়ার আনন্দে।
চলতি বছরে বইমেলায় আহ্বায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালিন করবেন ড৹ নজরুল ইসলাম। বৃহত্তম এই বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে জ্যাকসন হাইটসের পি এস–৬৯ এর মিলনায়তনে।
প্রতি বছরের মত এবারও বৃহত্তম মেলায় বৃহত্তম শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। সাংস্কৃতিক শোভাযাত্রা ডাইভার্সিটি প্লাজা থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে বইমেলার প্রাঙ্গনে। শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ জুন। এছাড়া প্রতিবারের মত এবছরও বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখা সেরা লেখককে মুক্তধারা/ জে এফ বি ২০০০ ডলার পুরস্কারে ভূষিত করবে।
এছাড়া মুক্তধারা’ জানিয়েছেন, প্রকাশকদের মধ্যে একজন সেরা প্রকাশককে বেছে নেওয়া হবে। তিনি লাভ করবেন মুক্তধারা/কথাপ্রকাশ পুরস্কার। এর অর্থমূল্য ৬০০ ডলার।
উল্লেখ্য, উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালি লেখকদের ২০১৯ সালের সেরা গ্রন্থ বেছে নিয়ে ৫০০ ডলার দিয়ে পুরস্কৃত করা হবে।