নয়াদিল্লি: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বৃহস্পতিবার ওয়াজিরাবাদে তেহরিক-ই ইনসাফ-এর মিছিলে এক অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে আহত হয়েছেন। হামলায় একজন নিহত এবং ইমরান খানসমেত অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন।
Imran Khan দেশকে বিভ্রান্ত করছেন। তাই মারতে চেয়েছিলাম। স্বীকারোক্তি ধৃত আততায়ীর। তাকে গ্রেপ্তার করেছে Pakistanএর পুলিশ। ধৃতের দাবি, ইমরানকে হত্যার ছক কষতে তাকে কেউ মদত করেনি।
এদিন তেহরিক-ই ইনসাফ-এর মিছিলে পাকিস্তানের সাবেক প্ৰধানমন্ত্ৰী Imran Khanএর পায়ে ৩টি গুলি লাগে।
সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি ভিডিওতে বলেছে-
“তিনি [খান] জনগণকে বিভ্রান্ত করছিলেন, এবং আমি তা সহ্য করতে পারিনি”। তথ্যমন্ত্রী নিশ্চিত করেছেন যে ফুটেজটি পুলিশ রেকর্ড করেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ আচমকাই ‘রিয়েল ফ্রিডম’ (Real Freedom) পদযাত্রায় গুলি চলে। জখম হন ইমরান খান। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের (Pakistan) সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছিল একাধিক আততায়ী। পিস্তল থেকে গুলি ছোঁড়া এক যুবককে গ্রেপ্তার করা গেলেও ফেরার স্বয়ংস্ক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্রধারী আরেক আততায়ী। কোনও কোনও সংবাদমাধ্যম অবশ্য দাবি করছে, এক আততায়ীর মৃত্যু হয়েছে। সরকারিভাবে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। এদিকে ধৃত আততায়ীর দাবি, “ইমরানকে মারতে এসেছিলাম। ওঁ দেশকে ভুল পথে চালনা করছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। এটা আমি মানতে পারছিলাম না। তাই পদযাত্রার শুরুতেই ঠিক করেছিলাম ওকে মারব।”
খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকারের বিরুদ্ধে লাহোর থেকে Islamabad পর্যন্ত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খানের একটি পদযাত্রার সময় ঘটনাটি ঘটে।
Pakistanএর পুলিশ গুলি চালানোর অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং জন সমাবেশে গুলি চালানোর কারণ জানতে জিজ্ঞাসাবাদ করে বের করার চেষ্টা করছে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার হওয়া বন্দুকধারীর পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। কোন গোষ্ঠীও গুলি চালানোর দায় স্বীকার করেনি।
পুলিশের মতে, হামলাটি পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশের ওয়াজিরাবাদ জেলায় ঘটেছে যেখানে খান ট্রাক ও গাড়ির একটি বড় কনভয় নিয়ে রাজধানী Islamabadএর দিকে যাচ্ছিলেন।
ডান পায়ে আঘাত পেয়েছেন Imran Khan। তাঁকে তাঁর কন্টেইনার ট্রাক থেকে অন্য গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখান থেকে ঘোষণা করা হচ্ছিল যে সে নিরাপদ। তাঁকে লাহোরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ধৃত হামলাকারী এদিন বাইকে চেপে ওয়াজিরাবাদ এসেছিল। কাকার দোকানে বাইক রেখে মিশে গিয়েছিল Imranএর পদযাত্রার জনজোয়ারে। উদ্দেশ্য একটাই, ইমরানকে খতম। তবে সেই উদ্দেশ্য পূরণ করতে ব্যর্থ বন্দুকবাজ। আপাতত পুলিশি হেফাজতেই রয়েছে সে।