নয়াদিল্লি: মায়ানমারে ব্রিটেনের সাবেক রাষ্ট্রদূত (Britain’s former ambassador) ভিকি বোম্যান এবং তাঁর শিল্পী স্বামী Htein Linকে সে দেশের সামরিক নিয়ন্ত্ৰিত আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ভিকি বোম্যান, যিনি ২০০২ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত মায়ানমারে রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁর স্বামী হেতেন লিন একজন প্রবীণ গণতন্ত্র কর্মী, অভিবাসন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গত সপ্তাহে ইয়াঙ্গুনে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে- তাঁদের দুজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মায়ানমারের সামরিক শাসকদের দেওয়া একটি চিঠিতে বলা হয়েছে- গত বছর যখন দম্পতি ইয়াঙ্গুনে তাঁদের রেজিস্ট্ৰার্ড ঠিকানা থেকে শান রাজ্যের কালাওয়ে অস্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন তখন কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাই তাঁদের (ভিকি বোম্যান এবং হেতেন লিন)এর বিরুদ্ধে দেশের অভিবাসন আইন এবং বিদেশিদের রেজিস্ট্ৰেশন নিয়ম লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছে। Htein Lin এর বিরুদ্ধে “অপরাধ” করার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় নিউজ সাইট মায়ানমার নাও জানিয়েছে যে নসেইন কারাগারের ভিতরে দম্পতির শুনানির জন্য গত বৃহস্পতিবার একটি আদালত বসেছিল, বিচারে শুক্রবার তাঁদের সাজা ঘোষণা হয়।
মায়ানমারে দায়িত্বশীল বিনিয়োগের সবচেয়ে বিশিষ্ট উকিল এবং দেশে বসবাসের দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। Vicky Bowman এবং Htein Linকে গ্রেপ্তার এবং কারাবাস, ব্যবসায়িক এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায় জুড়ে একটা ধাক্কা দিয়েছে৷
Amnesty International’s deputy regional director for campaigns, মিং ইউ হা, তাঁদের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার এই খবরকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “মায়ানমারের সেনাবাহিনীর রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা ট্রাম্পের অভিযোগে লোকদের গ্রেপ্তার এবং জেলে পাঠানোর কুখ্যাত ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে,”।
বোম্যান, যিনি বার্মিজ ভাষায় সাবলীল এবং ১৯৯০ সালে ব্রিটিশ দূতাবাসে দ্বিতীয় সচিব হিসাবে যোগ দিয়ে কূটনৈতিক কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, বর্তমানে মায়ানমার সেন্টার ফর রেসপন্সিবল বিজনেসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
হিতেন লিন মিয়ানমারের অন্যতম বিখ্যাত শিল্পী। তিনি ১৯৯৮ সালে সামরিক শাসনের অধীনে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে কারারুদ্ধ ছিলেন। আটক থাকাকালীন তাঁর শিল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ১০০০টিরও বেশি কাজ তৈরি করে সুপরিচিত অর্জন করেন।