ইরান: তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে ইরান। আগুন জ্বলছে ইরানি (iran) মেয়েদের মনে, শরীরে। সমস্ত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে তাদের শরীরে। চুল কেটে, হিজাব জ্বালিয়ে পুড়িয়ে তারা প্রতিবাদ করছে।
২২ বছরের তরুণীর মৃত্যু ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে ইরান (iran)।
এবং ক্রমশ ইরানে (iran) হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা আরও হিংসাত্মক আকার ধারণ করেছে। জানা গেল, এখনও পর্যন্ত ৪০ জন বিক্ষোভ প্রদর্শনকারীর মৃত্যু হয়েছে।
ইরানি (iran) মহিলা মহসা আমিনি (Mohsa Amini) এর মৃত্যুর পর ইরানে প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়েছে। এদিকে, বিক্ষোভে ফেটে পড়তেই সরকার ইন্টারনেট ব্যান (Internet Ban) করে দিয়েছে।
এবং ইরানের (iran) ইন্টেলিজেন্স দপ্তরের তরফে বৃহস্পতিবার সতর্ক করা হয়েছে,বিক্ষোভ প্রদর্শনে যারা অংশ নিচ্ছেন, বিষয়টি অবৈধ, প্রদর্শনকারীদের বিরুদ্ধে কেস চালানো হবে।
পোশাক যার যার অধিকার। ইরানের (iran) ঘটনায় ভারতের জনগণ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, এবং নেটিজেনরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। প্রচুর কথায় ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
ইরানে মহসা আমিনির পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়। পুলিশ ওই মহিলার বিরুদ্ধে ইরানের ড্রেস কোড অমান্য করার মামলায় গ্রেফতার করেছিল। তবে পুলিশের দাবি, মহসার মৃত্যু হার্ট অ্যাটাক হয়েছে।
কিন্তু আমিনির পরিবারের দাবি, মহসা একদম সুস্থ ছিল। পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে কিছু একটা করেছে, যাতে সে মারা গিয়েছে। পুলিশি নির্যাতনে সে মারা গিয়েছে, এমনটাই বলা হচ্ছে।
মহিলারা মহসা আমিনির মৃত্যুর বিরোধে হিজাব জ্বালিয়ে , নিজেদের চুল কেটে প্রকাশ্য বিক্ষোভ চালাচ্ছেন।চুল কাটার ভিডিও শেয়ার হয়েছে। তাদের চোখে আগুন, হাতে কাঁচি।
ইরানি রিপোর্টার এবং অ্যাকটিভিস্ট আলি নেজাদ এর বক্তব্য অনুযায়ী ইরানে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন বিক্ষোভকারী মারা গিয়েছেন।
হোয়াটস্যাপ কী বলছে?
ইরান ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যান করে দিয়েছে। এবং কোম্পানির বয়ান জারি হয়েছে, তারা ইরানের ভাই-বোনদের জুড়ে রাখার কাজ জন্য কাজ করছে। আর পরিষেবা চালু রাখার জন্য নিজেদের প্রযুক্তিগত ক্ষমতাতে কোনোকিছু করার চেষ্টা চালাচ্ছে।