নয়াদিল্লিঃ Iranএ Hijab বিতর্ক নিয়ে অসন্তোষের আগুনে জ্বলছে। Mahsa Aminiর মৃত্যুর প্রতিবাদে পথে নেমে পুলিশের গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০।মূলত তাঁর মৃত্যুর পরই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ইরান। বিক্ষোভকারীদের রোষের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে পাঁচ নিরাপত্তারক্ষীরও। এমনটাই দাবি করা হয়েছে অসলোর স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইরান হিউম্যান রাইটস্’-এর পক্ষ থেকে।
ইরান সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এখনও পর্যন্ত সরকার বিরোধী বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশের গুলিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু সরকার প্ৰকৃত তথ্য প্ৰকাশ করছে না, সরকারের দেওয়া তথ্য ভুয়ো বলেই দাবি করেছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
অন্ততপক্ষে ইরানের ৮০টি শহরে মানবাধিকার এবং মৌলিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।
ইতিমধ্যেই Social Mediaয় ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, Iranএর রাজধানী তেহরানের বিক্ষোভের জ্বলন্ত ছবি। সন্ধ্যা নামার পরই তেহরানের বিভিন্ন এলাকায় জড়ো হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের ভিড়। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি কুশপুতুল এবং হিজাব পুড়িয়েও প্রতিবাদ করতে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভকারীদের। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পাশাপাশি পোড়ানো হয়েছে পুলিশের গাড়িও।
ইরানের President ইব্ৰাহিম রাইসি নিউইয়র্কে রাষ্ট্ৰসংঘের সাধারণ সভার সময় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন- সরকার প্ৰতিবাদ এবং ধ্বংস বন্ধ করতে বেশি কঠোর হয়েছে। প্ৰয়োজন হলি সঠিক ব্যবস্থা নিতে হবে। উল্লেখ্য, হিজাব ঠিক মতো পরে না যাওয়ায় পুলিশে মাহশাকে শাস্তি হিসেবে আটক করেছিল।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সের Mahsa Amini একটি গাড়িতে পরিবারের সঙ্গে কুর্দিস্তান থেকে ইরানের রাজধানী তেহরানে আসছিলেন। সেই সময় ইরানের পুলিশ তাঁদের গাড়ি আটকে দেয়। হিজাব না পরার জন্য Mahsaকে আটক করে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশি হেফাজতে মাহশার মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ইরানে অসন্তোষের আগুন। রাস্তায় হিজাব জ্বালিয়ে দিয়ে মাথার চুল কেটে মেয়েরা প্ৰতিবাদ করেছে। কুর্দিস্তানে প্ৰথম মাহশার মৃত্যুর প্ৰতিবাদ হয়, তারপর সেই বিক্ষোভের আগুন গোটা ইরানে ছড়িয়ে পড়ে।