নয়াদিল্লিঃ ব্যবসায় পাল্লা দিয়ে মুকেশ অম্বানীকে টপকে এখন দেশের সব থেকে ধনী ব্যক্তি Goutam Adani। শুধু দেশেরই নয়, বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী আদানি এখন এশিয়ারও ধনীতম ব্যক্তি। বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তিনি এখন চার নম্বরে। আদানি গোষ্ঠীর সাফল্যের চাকচিক্যের পিছনে রয়েছে পাহাড়প্রমাণ ঋণের বোঝা সমীক্ষার রিপোর্টে এমনটাই জানা যাচ্ছে। অবশেষে এই বিষয়ে মুখ খুলেছে সংস্থা।
ফিচ গোষ্ঠীর সংস্থা ক্রেডিট সাইটসের রিপোর্টের পালটা দিয়েছে আদানি গ্রুপ (Adani group)। তারা জানিয়েছে, যে ঋণের বোঝা ঘিরে এত কথা, সেই বোঝা এখন অনেকটাই কমিয়ে ফেলেছে এই সংস্থা। ১৫ পাতার রিপোর্টে সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ধারাবাহিক ভাবে ঋণকে ডি-লিভার করছে আদানি গ্রুপ। গত ৯ বছরে নিট ঋণের Ebitda অনুপাত ৭.৬ গুণ থেকে কমে ৩.২ গুণ হয়েছে।
গত মাসে প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়, ব্যবসা বৃদ্ধির অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষায় ঋণ-নির্ভর হলে ঋণের ফাঁদে পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে আদানিদের সংস্থাগুলির জন্য। তবে সেই সঙ্গে এও বলা হয়, আদানিদের অতীত রেকর্ড যথেষ্ট আশাপ্রদ। শক্তিশালী ও স্থায়ী সংস্থা তৈরি করেছে তারা। তবে তা সত্ত্বেও সম্প্রতি চালু ও নতুন, দুই ধরনের ব্যবসায় যেভাবে আগ্রাসী বিনিয়োগ করতে দেখা গিয়েছে আদানিকে তা নিয়েই সংশয় ও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই আশঙ্কাকেই কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী।
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও ব্যবসা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। বাংলাদেশে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুৎ রপ্তানি করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কাতেও বায়ুশক্তি উৎপাদন কেন্দ্র তৈরি করেছিল আদানি গোষ্ঠী।