গুয়াহাটিঃ চাকরি করতে গেলে অবশ্যই মেনে চলতে হয় সংশ্লিষ্ট Company বা সংস্থার নিয়ম। কিন্তু সেই নিয়মের ফাঁদে পড়ে যদি কর্মচারির পকেটের কড়ি খসে যায়, কিছুই জমাতে না পারেন তাহলে সেটা দুঃখজনক ব্যপার। তেমনই অভিযোগ এনেছেন এক সংস্থার employee। তাঁর দাবি, সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী in every 3 months তাঁকে কিনতে হয় নতুন ‘ইউনিফর্ম’(Uniform)। যার জন্য প্রতি বছর হাজার হাজার টাকা তাঁর পকেট থেকে খসে পড়ছে। যেখান থেকে রোজগার হচ্ছে সেই সংস্থার জন্যই যদি অর্ধেক টাকা চলে যায় তাহলে তো ব্যাপারটা সত্যিই বিরক্তিকর। সেখানে কর্মচারীর ব্যক্তিগত ইচ্ছের কোনও মূল্যই নেই।
এমনই নিয়ম রয়েছে এক নামকরা পোশাক বিপণিতে। নিত্য নতুন design-এর সম্ভার এলেই দোকানের কর্মচারীদের তা কিনতে হয়। সেগুলিকেই ব্যবহার করতে হয় নতুন ইউনিফর্ম হিসেবে। তাতেই বেজায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন দোকানের এই মহিলা কর্মী। যদিও সংস্থার কর্মী হিসেবে ৭০ শতাংশ ছাড় পান তিনি, তবু এই অতিরিক্ত টাকা খরচে যথেষ্ট বিরক্তই তিনি।
ওই কর্মীর দাবি, প্রয়োজন না থাকলেও কিনতে হয় নতুন পোশাক। তাও আবার নিজের পছন্দের যা খুশি পোশাক হলে চলবে না। সংস্থার নির্দিষ্ট করে দেওয়া পোশাকেই সাজতে হবে কর্মীদের।
আক্ষেপের সুরে ওই নারী (woman employee) জানিয়েছেন, তাঁর বাড়িতে যথেষ্ট আর্থিক সমস্যা রয়েছে। পরিবার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তাই এতো দামি দামি জামাকাপড় কিনতে বাধ্য করনোটা সত্যিই অনৈতিক।
জামাকাপড় নষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তিনি নতুন কিছু কেনেন না, সেখানে এভাবে প্রতি তিন মাস অন্তর নতুন পোশাক কেনা যথেষ্ট বিলাসিতার ব্যাপার। যে সংস্থা তাঁকে মাসের শেষে বেতন দিচ্ছে তাঁদেরই জিনিস কিনে বিজ্ঞাপন করতে হচ্ছে তাঁকে। মালিকের ঘরেই যেন বেতনের বড় অংশ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি, এমনটাই অভিযোগ নারীর।
ওই কর্মী (woman employee) নিজের এই দুঃখের কথা social mediaয় পোস্ট করায় নেটিজেনরাও সহানুভূতি জানিয়েছেন তাঁকে। অনেকেই সেই সংস্থাকে দোষারোপ করেছেন এমন অদ্ভুত নিয়ম তৈরি করার জন্য। নেট দুনিয়ায় বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ওই কর্মীকে। অনেকেই দাবি করেছেন, কোম্পানির উচিত ইউনিফর্ম কেনার টাকা দিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি কেউ কেউ তাঁর পুরনো জামাকাপড়গুলি দান করে দেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। সব মিলিয়ে নেটদুনিয়াতেও বেশ সমালোচিত হয়েছে বিষয়টি।