দ্বিতীয়বারের জন্যে বরগুনার রিফাত শরিফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে আসামি বনে যাওয়া স্ত্রী মিন্নির জামিন নাকচ হয়ে গেল।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টার নাগাদ বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
তবে আরো এক ভয়ংকর তথ্য উঠে এল রিফাত হত্যা ঘটনায়। বাংলাদেশের বরগুনার আয়েশা সিদ্দিকি মিন্নির স্বামী রিফাত হত্যার যে ভিডিও কাঁপিয়ে গেছে সারা বিশ্বকে, সেই আসল ২১ মিনিটের ভিডিও মানুষের সামনে আসেনি। সাধারণ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াসহ অন্যান্য স্থানে দেখেছে কেবল ২১ মিনিটের কাটছাঁট করা এক ভিন্ন ভিডিও।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে, রিফাত হত্যা ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে মোট দুটো। কারণ হত্যা ঘটনায় প্রথমে মোবাইল ফোনে ধারণ করা হয়েছিল ২১ মিনিটের ভিডিও। এরপর ভাইরাল করা হয় জেলা পুলিশের নিয়ন্ত্রণাধীন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ।
পুলিশের হাত ঘুরে সেই ২১ মিনিটের ভিডিও ফুটেজ থেকে ছাঁটাই হয়ে যায় ১১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডে। প্রায় সাতবার ভিডিওটি এডিট করে ৯ মিনিট ৩ সেকেন্ডে উপস্থাপন করা হয়।
এবং সেই ভিডিও দেখার পরই নিহত রিফাতের বাবা, মিন্নির শ্বশুর মশাই দাবি করেন পুত্রবধূ এই ঘটনায় জড়িত রয়েছেন। এরপরই মানববন্ধন করে হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষীকে আসামি করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রকৃত দোষীদের আড়াল করার জন্যে অপপ্রচার করে আজ মিন্নিকে বানানো হয়েছে খুনি।
উল্লেখ্য, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে ২৬ জুন সকালে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই সময় মোবাইল ফোনে ধারণ করা একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রিফাত হত্যা নিয়ে দেশব্যাপী আলোচনার ঝড় বইতে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে যারাই ভিডিওটি দেখেছে, তারা রিফাতের স্ত্রী মিন্নিকে ‘সাহসিকা’ বলে ধন্যবাদ জানিয়েছে। হঠাৎ করেই ৫ জুলাই রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ বেসরকারি একটি টেলিভিশনে প্রচারিত হয়।
সূত্রঃ কালের কন্ঠ
।