ঢাকা: বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খান (toab khan) আর নেই। দেশ বরেণ্য এই সাংবাদিক শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
সম্মানজনক একুশে পদকপ্রাপ্ত তোয়াব খানের (toab khan) বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাক্তন তথ্য সচিব,প্রাক্তন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা, প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের প্রাক্তন মহাপরিচালক, দৈনিক বাংলার সম্পাদক এবং একুশে পদক প্রাপ্ত সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শোকবার্তায় প্রয়াত তোয়াব খানের (toab khan) শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ও তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী এক শোকবার্তায় তোয়াব খানের (toab khan) শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
তোয়াব খানের (toab khan) মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শাসকদল আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তোয়াব খান (toab khan) বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন তোয়াব খান।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এবং প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন তিনি। দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত পত্রিকাটির উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন তিনি।
এর আগে বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হলে তাঁকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সম্প্রতি নতুন আঙ্গিক ও ব্যবস্থাপনায় ‘দৈনিক বাংলা’ প্রকাশিত হচ্ছে।
তোয়াব খান সর্বশেষ দৈনিক বাংলার সম্পাদক ছিলেন। তার আগে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠের শুরু থেকে গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালে একুশে পদক পাওয়া তোয়াব খানের সাংবাদিকতা জীবনের শুরু ১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে। ১৯৫৫ সালে যোগ দেন দৈনিক সংবাদে।
১৯৬১ সালে তিনি দৈনিক সংবাদের বার্তা সম্পাদক হন। এরপর ১৯৬৪ সালে যোগ দেন দৈনিক পাকিস্তানে। দেশ স্বাধীনের পর দৈনিক পাকিস্তান থেকে বদলে যাওয়া দৈনিক বাংলার প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান।
১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি তিনি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সচিব ছিলেন।
তিনি প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্বও পালন করেন। দেশের দক্ষিণ জনপদ জেলা সাতক্ষীরায় জন্ম নেওয়া তোয়াব খান মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন। সে সময় তাঁর উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হতো ‘পিণ্ডির প্রলাপ’ নামের অনুষ্ঠান।