ঢাকা: খানিকটা কোভিড-১৯ কাটিয়ে ওঠার পর চলমান বৈশ্বিক সংঘাত, আর্থিক-জ্বালানি-খাদ্যসংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রতি রাষ্ট্রসংঘের অব্যাহত সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন সংস্থার মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরে বাংলাদেশের (Bangladesh) বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে রবিবার সাক্ষাৎকালে গুতেরেস এ কথা বলেন।
এই প্রেক্ষাপটে আব্দুল মোমেন ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন’ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান, যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে সার ও শস্য আমদানির মাধ্যমে খাদ্যসংকট মোকাবিলায় সহায়তা করে। গুতেরেস মোমেনকে জানান, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে সারের কাঁচামালের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে, যা বাংলাদেশ সাশ্রয়ী মূল্যে আমদানির কথা বিবেচনা করতে পারে।
রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিদেশমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশ এই সুযোগ কাজে লাগানোর কথা বিবেচনা করবে।
বিদেশমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়নের গতিধারার প্রশংসা করেছেন গুতেরেস। বাংলাদেশ আগামী বছরগুলোতে বিশেষ করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আরও সাফল্য অর্জন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ সেনা ও পুলিশ সদস্য প্রেরণকারী দেশ হিসেবে আন্তর্জাতিক শান্তি নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশের ধারাবাহিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন গুতেরেস।
রাষ্ট্রসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সম্প্রতি মায়ানমার বিষয়ে গৃহীত প্রস্তাবের (রেজল্যুশন) পরিপ্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা সংকটসহ তার সম্ভাব্য উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন গুতেরেস ও আব্দুল মোমেন।
তাঁরা এই সংকট সমাধানে আসিয়ানের কার্যকর নেতৃত্বের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রসংঘ মহাসচিব ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাঁদের মাতৃভূমি মায়ানমারে ফেরাতে রাষ্ট্রসংঘের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের সময় বিদেশমন্ত্রী স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষভাবে আব্দুল মোমেন রাষ্ট্রসংঘ সভাপতির সঙ্গে ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন’ বিষয়ে বাংলাদেশের উদ্যোগে মন্ত্রিপর্যায়ের একটি নতুন ফোরাম প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেন।