কলকাতাঃ Sitrangএর দাপটে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে Bangladeshএর। এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ঝড়ের প্ৰভাবে লন্ডভন্ড হয়েছে বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকা। সোমবার রাতে বরিশাল, চট্টগ্ৰামের উপকূলে আঘাত হানে Sitrang। বরিশালের কাছে তিনকোনা এবং সন্দীপের মধ্যে আঘাত হানে Sitrang। নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ হেক্টর জমির ফসল।
তবে বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সিটরাঙ উপকূলে শক্তি হারিয়ে নিম্নচাপের মতো হয়েছিল। কক্সবাজার এবং চট্টগ্ৰামে বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার ছিল। Sitrangএর প্ৰভাবে দক্ষিণ Bangladeshএর জেলা নোয়াখালি, ভোলা, বরিশাল, কক্সবাজার চট্টগ্ৰামের উপকূলে বিভিন্ন এলাকায় প্ৰায় ৯ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছাস হয়েছে। এপর্যনন্ত ১১ জন প্ৰাণহানির খবর মিলেছে। আশ্ৰয় কেন্দ্ৰ ঠাঁই নিয়েছে উপকূলের প্ৰায় ৭ লক্ষ মানুষ। নষ্ট হয়েছে কয়েক লক্ষ হেক্টর জমির ফসল। যেসব শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠান আশ্ৰয় শিবিরের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে, তা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে। এপর্যন্ত ১৬ জনের প্ৰাণহানির খবর মিলেছে।
টাঙাইলের মধুপুর, জামালপুর এলাকায় গাছ চাপা পড়ে মৃত্যু হয় দুই কনস্টেবল এবং এক আসামীর। ওই আসামীমকে DNA টেস্টের জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কক্সবাজার, চট্টগ্ৰাম, সাতক্ষীরা, খুলনা, বাঘের হাট, ক্ষীরোদপুর, বরগুণা, ঝামালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালি, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালি, ফেনি এবং বরিশাল দেশের ১৫টি জেলায় ঝড়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অন্য জেলাতেও Sitrangএর প্ৰভাব পড়েছে। গত চার বছরে ৬টি ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকার। ফণি, বুলবুল, আমফানের তাণ্ডবে এর আগে বার বার ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের। এর মধ্যে ফণির তাণ্ডব ছিল সবচেয়ে বেশি ১২ ঘন্টা।
যেকোনো সাহায্যের জন্য জনগণকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে যোগাযোগ করতে বলেছে জেলা প্রশাসন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ার পরই আগে ভাগেই Bangladeshএর কক্সবাজার সমেত বিভিন্ন উপকূল এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ও গবাদিপশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। নইলে আরও ক্ষতির সম্ভাবনা ছিল।