নয়াদিল্লি: স্বপ্নের পদ্মাসেতুর (padma bridge) উদ্বোধন হয়ে গেছে। এখন আর এটি স্বপ্ন নয়, বাস্তব।এবার ভারত সফরে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) নরেন্দ্র মোদিকে পদ্মা সেতু (padma bridge) দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানালেন।
বুধবার নয়াদিল্লিতে (Delhi) এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, মঙ্গলবার হায়দরাবাদ হাউজে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে পদ্মা সেতু (padma bridge) দেখতে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত বাংলাদেশের সমস্ত প্রতিকূলতায় পাশে দাঁড়ায়। এবং ভারতকে শেখ হাসিনা পরীক্ষিত বন্ধু বলে সম্বোধন করেছেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। আমরা একে অপরকে সহযোগিতা করছি। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো বাধা আসলে সম্মিলতভাবে প্রতিহত করা হবে। তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইসহ দুই দেশের মধ্যে সব অমীমাংসিত সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
তিনি (Sheikh Hasina) বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসু আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের অনেক বিষয় আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান হবে।
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক প্রতিবেশী কূটনীতির রোল মডেল। গত এক দশকে উভয় দেশই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা এবং দুদেশ ও এ অঞ্চলের শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার স্বার্থে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে আমি ও প্রধানমন্ত্রী মোদি একমত হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (modi) বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার সীমান্ত দিয়ে ৫৪টি নদী প্রবাহিত হয়।এসব নদী উভয় দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। মঙ্গলবার আমরা কুশিয়ারা নদীর জলবণ্টন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার (sheikh hasina) নেতৃত্বে বাংলাদেশ (Bangladesh) দ্রুত উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Bangladesh PM sheikh hasina) বললেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (narendra modi) যতদিন এখানে থাকবেন, ততদিন নয়াদিল্লি ও ঢাকা (delhi dhaka) তিস্তা নদীর (tista ) জল বণ্টনের সমস্যা-সহ সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবে।”