ঢাকা: আধিপত্য দ্বন্দের জেরে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের এক রোহিঙ্গাকে যুবককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরসার সদস্যরা হত্যা করেছে।
নিহতের নাম মো. সলিম (৪৫)। পুলিশ বলছে, মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরসার সদস্যরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। গত শনিবার রাত ১০টায় উখিয়ার ২ নম্বর ওয়েস্ট ক্যাম্পে এ ঘটনা। নিহত সলিম ৭ নম্বর ক্যাম্পের মো. নজির হোছনের ছেলে।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলি বলেছেন, রাত ১০টায় আরসা সন্ত্রাসীরা মো. সলিমকে গুলি করে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় রোহিঙ্গারা তাকে চিকিৎসার জন্য কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসারত অবস্থায় রাত ১২টায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এরআগে জেলার উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ইস্ট নম্বর শিবিরে মো. ইসহাক নামে এক যুবককে আরসা সন্ত্রাসীরা তুলে নিয়ে ব্রিজের নিচে এনে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ফেলে রেখে যায়।
নিহত মো. ইসহাক (৪৮) উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের এ-১ ব্লকের মোহাম্মদ রশিদের ছেলে। আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক বলেন, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা সন্ত্রাসীরা এ কাণ্ড ঘটিয়েছে ধারণা করছি।
এছাড়া কক্সবাজারের টেকনাফে এনজিওকর্মী ও এক রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার দুপুরের দিকে উপজেলার জাদিমোরা শালবাগান ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এই ঘটনা।
অপহৃতরা হলেন- হ্নীলার জাদিমোর এলাকার তজুর রহমানের ছেলে এনজিওকর্মী মোহাম্মদ হাসান (৫০) এবং শালবাগান রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দা হাকিম আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)। হ্নীলা ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে দুই শতাধিক স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে পাহাড়ে গিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা খুঁজে পেয়েছি।
তবে অপহরণকারীরা আমাদের দেখে গহীন পাহাড়ের ভেতর থেকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। ফলে অস্ত্রের মুখে অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে পুলিশ এখনও অভিযানে রয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন- এপিবিএনের সঙ্গে গোলাগুলিতে আরসার এক ‘শীর্ষ কমান্ডার’ নিহত হয়েছে।
উখিয়া উপজেলার ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে এ ঘটনা।এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয়েছে গুলি, অস্ত্র, ওয়াকিটকি, মোবাইল ফোন ও সিমকার্ড।
এপিবিএন বলছে, নিহত হোসেন আহমেদ ওরফে হোসেন মাঝি (৪১) মায়ানমারের সশস্ত্র দল আরসার শীর্ষ কমান্ডার। তার বিরুদ্ধে উখিয়া ও টেকনাফ থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা আছে।