ঢাকা: বাংলাদেশে (Bangladesh) আশ্রয় নেওয়া Rohingya শরণার্থীদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার সুপারিশ বিবেচনায় নিয়ে Bangladesh সরকারের সঙ্গে সহায়তার মাধ্যমে উদ্যোগটি কার্যকর হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়। বিবৃতিটি ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এদিকে Rohingya প্রত্যাবর্তন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘Rohingya প্রত্যাবর্তন ইস্যু নিয়ে জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। এটা আমাদের জন্য একটি ভালো খবর। এর আগে জাপানি দূত জানিয়েছেন, তাঁর দেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে।
এই জল্পনাই উসকে দিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত টোকিওর দূত ইতো নাওকি। Bangladesh যখন মায়ানমার থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের চাপে হিমশিম খাচ্ছে তখন জাপানি রাষ্ট্রদূতের এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বুধবার কর্মস্থল ঢাকা ছাড়ার আগে জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছেন, কিছু Rohingya শরণার্থীকে পুনর্বাসন দেওয়ার কথা ভাবছে টোকিও। Bangladesh যখন মায়ানমার থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা ১০ লক্ষ Rohingya শরণার্থীর চাপ কমানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তখনই রাষ্ট্রদূত এ কথা জানালেন।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত আরও জানান, বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পুনর্বাসনের অনুরোধ পেয়েছে Japan। এ ছাড়া রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ রোহিঙ্গাদের জাপানে পুনর্বাসনের সম্ভাবনার বিষয় বিবেচনার পরামর্শ দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশ দপ্তর মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের সহযোগিতায় ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিতে পেরে যুক্তরাষ্ট্র আনন্দিত।
এটি যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক শরণার্থী কর্মসূচির অংশ হবে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সাড়া প্রদানের ক্ষেত্রে একটি বৃহত্তর সমন্বিত উদ্যোগের অন্যতম উপাদান। যার মূল লক্ষ্য হলো—রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছাধীন, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত করা। যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসনে রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থার জমা দেওয়া সুপারিশ বিবেচনা করবে।
মার্কিন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্রের কার্যালয় বলেছে, মায়ানমারের সামরিক বাহিনী পরিচালিত গণহত্যা-মানবতাবিরোধী অপরাধের শিকার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী সমর্থনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র গর্বিত। চলমান সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলে আসা রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য শরণার্থীর জন্য ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সহায়তার লক্ষ্য শরণার্থীদের তাৎক্ষণিক মৌলিক চাহিদা সমর্থন করা। পাশাপাশি শিক্ষা-জীবিকার সুযোগের উন্নতির মাধ্যমে শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহনশীলতা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, মর্যাদাকে শক্তিশালী করা।
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে জড়িতদের জবাবদিহির আওতায় আনা, এই নৃশংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকেও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও পুনর্বাসন উদ্যোগে সমর্থন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।