ঢাকা: আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২২ সালে Rohingyaদের সমুদ্রপথে Bangladesh ত্যাগ পাঁচ গুণ বেড়ে ৩ হাজার ৫০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।
সমুদ্রপথে ২০১৪ সালের পর বিদায়ী বছরটি ছিল জাতিগত এই সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে প্রাণঘাতী। গত বছর আন্দামান সাগর ও বঙ্গোপসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টাকালে ৩৪৮ জন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বলেছে, গত ডিসেম্বরে একটি নৌযান ডুবে গেলে উদ্বেগজনক জায়গায় গিয়ে ঠেকে। ওই নৌযানে থাকা ১৮০ রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং জীবিকার তাগিদে Rohingya দের অন্য দেশে যাওয়ার জন্য বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা বেছে নিয়েছে।
আশ্রিত Bangladesh ও নিজভূমি Myanmar ছাড়ার মরিয়া মনোভাবের কারণে ২০২২ সালে সমুদ্রযাত্রার সংখ্যা বেড়েছে। Rohingya জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই জাতিগত মুসলিম সংখ্যালঘু। তারা কয়েক শতক ধরে মায়ানমারে বসবাস করে আসছে।
কিন্তু বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটিতে ১৯৮২ সালের পর থেকে তাদের নাগরিকত্ব অস্বীকার করা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের দক্ষিণ এশিয়া থেকে যাওয়া অবৈধ অভিবাসী মনে করা হয়। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে অস্থায়ী শিবিরে গাদাগাদি করে বসবাস করছে মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা।
সবশেষ ২০১৭ সালে সেনাবাহিনী প্রাণঘাতী দমন অভিযান শুরু করলে কয়েক লাখ Rohingya বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ইউএনএইচসিআর বলেছে, রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ নৌযান মায়ানমার ও বাংলাদেশ থেকে ছেড়ে যায়। নৌযানে এসব রোহিঙ্গারা প্রাথমিকভাবে মায়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশে গিয়ে নামে।
রাষ্ট্রসংঘের এই সংস্থার মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ২০১৪ সালে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা ঝুঁকিপূর্ণ এই সমুদ্রযাত্রা বেছে নেয়। তাদের মধ্যে সাত হাজারের বেশি প্রাণ হারিয়েছে কিংবা নিখোঁজ হয়েছে।
২০২১ সালের তুলনায় গত বছর নারী ও শিশুদের বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা ৭ শতাংশ বেড়েছে। গন্তব্যে পৌঁছাতে সক্ষম হওয়া প্রায় ৪৫ শতাংশও এতে অন্তর্ভুক্ত।
এদিকে কক্সবাজার জেলার উখিয়া সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে বিজিবি। মঙ্গলবার বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে পালংখালী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম রহমতেরবিল হাজীরবাড়ি এলাকায় এ কাণ্ড।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে কক্সবাজার বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চৌধূরী স্বাক্ষরিত বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়েছে।
ওই বিবৃতি বলা হয়েছে, মঙ্গলবার আনুমানিক বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন (৩৪ বিজিবি) এর অধিনস্থ বালুখালী বিওপি থেকে আনুমানিক দেড় কিলোমিটার দক্ষিণ দিকে এবং সীমান্ত পিলার—০ থেকে আনুমানিক ৮০০ গজ উত্তর-পূর্ব কোণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রহমতের বিল হাজীরবাড়ী এলাকায় ইয়াবা কেনাবেচাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়।
এসময় বালুখালী বিজিবি বিওপির একটি বিশেষ টহল দল দ্রুত ওই এলাকায় পৌঁছালে তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বিজিবি টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি করে। সেসময়ে বিজিবি টহল দল আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে।
এতে মাদক কারবারিরা ছত্রভঙ্গ হয়ে মায়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় বিজিবি টহলদলের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে সকল বিওপি সমূহ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। পাশাপাশি টহল এবং গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।