ঢাকা: রোহিঙ্গা (rohingya) সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা কোরোসি। রাষ্ট্রসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশের (bangladesh) বিদেশষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শনিবার রাষ্ট্রসংঘের বাংলাদেশ (bangladesh) স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়েছে।রোহিঙ্গা (rohingya) সঙ্কট বিষয়ক আলোচনাকালে রোহিঙ্গা (rohingya) শিশুদের নিজ ভাষায় শিক্ষাদান,রোহিঙ্গা (rohingya) ক্যাম্পে কোভিড ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশ (bangladesh) সরকার যে সব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে তা তুলে ধরেন বিদেশমন্ত্রী।
এখন পর্যন্ত কোনো রোহিঙ্গা (rohingya) নিজ ভূমি মায়ানমারে ফেরত যায়নি বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী মোমেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতি রোহিঙ্গাদের (rohingya) আশ্রয় ও মানবিক সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের (bangladesh) ভূমিকার উচ্চ প্রশংসা করেন।
এ সংকট কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেন সাধারণ পরিষদ সভাপতি।বিদেশমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা অর্থাৎ এর প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য আরও তহবিলের গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন।
এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল প্রদানের যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা শীঘ্রই বাস্তবায়নের উপর জোর দেন। সাধারণ পরিষদের সভাপতি বিষয়টির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন।
সুবিধাজনক যে কোনো সময়ে সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বাংলাদেশ (bangladesh)সফরের আমন্ত্রণ জানান বিদেশমন্ত্রী।
ওই বৈঠকে রাষ্ট্রসংঘের বিভিন্ন ফোরামে বাংলাদেশের (bangladesh)উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ, তাৎপর্যপূর্ণ অবদান ও ফলপ্রসূ নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাষ্ট্রসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) সাবা কোরোসি।
রাষ্ট্রসংঘে বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এ প্রশংসা করেন তিনি। বৈঠকের শুরুতে ‘এসডিজি বাস্তবায়ন রিভিউ’ বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্ট আয়োজন এবং সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের আওতাধীন উন্নয়নশীল দেশসমূহের অর্থ, বিদেশ ও উন্নয়ন মন্ত্রীদের সমন্বয়ে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা এ দুটি প্রস্তাব সাধারণ পরিষদের সভাপতির নিকট পেশ করেন বিদেশমন্ত্রী আবদুল মোমেন।
এসময় এসডিজির বাস্তবায়ন, বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর মধ্যে এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তহবিল ঘাটতির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিদেশমন্ত্রী। প্রস্তাবিত উচ্চপর্যায়ের ইভেন্টটির আয়োজন করা হলে তা এসডিজির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এবং তহবিল ঘাটতি মোকাবিলায় ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন।
এছাড়া সাউথ-সাউথ কোঅপারেশনের (এসএসসি) আওতায় মন্ত্রী পর্যায়ের ফোরাম এসএসসির বিষয় ভিত্তিক আলোচনাকে আরও এগিয়ে নিতে একটি চমৎকার প্লাটফর্ম তৈরি করবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাধারণ পরিষদের সভাপতি বিদেশমন্ত্রীর প্রস্তাব দুটিকে স্বাগত জানান।