বাংলাদেশের অবস্থান করা রোহিঙ্গারা ভুয়ো নথি প্রদর্শন করে পাসপোর্ট তৈরি করছে এমন অভিযোগ পূর্বেরই ছিল।
কিন্তু এবারের তথ্য সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। বাংলাদেশি পরিচয়পত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা তো নেয়া হচ্ছেই না বরং তাঁদের সরাসরি শিবিরে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এমন ঘটনাগুলোর মামলা না হবার পেছনে দালাল চক্রের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত ৫ মাসে পাসপোর্ট করতে আসা মোট ৭৯ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে।
চট্টগ্রামের দুটো পাসপোর্ট কার্যালয়ের মধ্যে নগরের মনসুরাবাদ বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের আওতায় রয়েছেন হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই ও সন্দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা।
এ ছাড়াও ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, বায়েজিদ বোস্তামী, পাহাড়তলী, হালিশহর ও আকবর শাহ থানা এই কার্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যদিকে পাঁচলাইশের আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের আওতায় রয়েছে বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী উপজেলা এবং নগরের কোতোয়ালি, চান্দগাঁও, বাকলিয়া, পাঁচলাইশ ও কর্ণফুলী থানা এলাকা।
জানা গেছে, দুটি কার্যালয়ে দৈনিক ৭০০–এর বেশি আবেদন জমা পড়ে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাইদের তথ্যে ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে।
রোহিঙ্গাদের আচার-আচরণ, কথা বার্তার সঙ্গে চট্টগ্রামের মানুষের খুব বেশি পার্থক্য নেই। এই পার্থক্য না থাকার ফলে মাঝখানে এক দালাল চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা কখনো ভুয়া আবার কখনো প্রকৃত সনদ নিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে নিচ্ছে।
এও জানা গেছে, শনাক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কেন বিষয়টিতে জোর দিচ্ছে না, তা নিয়ে এবার চারদিক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।