যে বাংলাদেশ মানবিক কারণে মায়ানমারে পাশবিকভাবে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে থেকে দেশে থাকার সুযোগ করে দিয়েছে, সে রোহিঙ্গারা বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের ত্রাস হয়ে উঠেছে। বিভিন্ন অসামাজিক কাজকর্ম নারী পাচার, ধর্ষণ, খুন, ডাকাতি প্রভৃতিতে কলংকিত করছে দেশকে।
পয়লা সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন এক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী।
নাম নুর মোহাম্মদ। মূলত নূর মোস্ট ওয়ান্টেড একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক আসামি এবং যুবলীগ নেতা ওমর হত্যা মামলার প্রধান আসামিও বটে।
রোহিঙ্গাদের অধিকাংশ এসময় হিংস্র এবং ঘাতক হয়ে উঠেছে। আসামি নুরকে নিয়ে এদিন সকাল ৬টা নাগাদ টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ দল উপজেলার হ্নীলা জাদিমোরা ২৭নং ক্যাম্পের পাহাড়ের আস্তানায় অবৈধ অস্ত্র ভাণ্ডার উদ্ধার অভিযানে যায়।
এ সময় স্বশস্ত্র রোহিঙ্গারা আটক নূরকে দেখে তাঁকে দলে ফিরিয়ে নেবার ফন্দি করে গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন নূর। পাশাপাশি আহত হয়েছেন পুলিশের ওসি এবিএমএস দোহা, কনস্টেবল আশেদুল, অন্তর চৌধুরি।
টানা আধ ঘন্টা গুলি বর্ষণ হয় পুলিশ এবং গুণ্ডা রোহিঙ্গাদের মধ্যে। এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪টি এলজি, ১টি থ্রি কোয়াটার, ১৮ রাউন্ড গুলি, ২০ রাউন্ড গুলির খালি খোসা।