যে দেশে নারী-পুরুষের সমানাধিকার রয়েছে, পুরুষ নারীকে নির্যাতন চালাচ্ছে না, ধর্ষণ করছে না, সে দেশ আক্ষরিক, মানসিক অর্থেই সভ্য।
ভয়ানক এবং মর্মান্তিক তথ্য লাভ করা গেছে যে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সদ্য সমাপ্ত বছরটিতে (২০১৯) ৫০টি থানা এলাকায় ধর্ষণ এবং পাশাপাশি গণধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ৫০০ (৪৯৮) মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গণধর্ষণের মামলার সংখ্যা মোট ৩৭টি। (তথ্য প্রথম আলো)
সমস্ত ঘটনা পুংখানুপুংখ তদন্ত করে পুলিশ ইতিমধ্যে ঢাকা আদালতে ৪০২টি মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার বাংলাদেশের পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ঢাকা শহরে ধর্ষণ-গণধর্ষণের ঘটনার ভুক্তভোগীদের সঙ্গে প্রতিদিনই কথা হচ্ছে। ঢাকায় প্রায় প্রতিদিনই ধর্ষণের অভিযোগে থানা-আদালতে মামলা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনা ঢাকায় কিছুতেই কমছে না।
দেশের এক ব্যক্তি জানাচ্ছেন, “ঢাকা মহানগরে মেয়েদের বাইরে পা রাখা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে শুধুমাত্র পুরুষাঙ্গটির জন্যে পুরুষেরা এত দুরন্ত, অসভ্য হয়ে উঠেছে তা ধারণারও বাইরে।” তিনি জানাচ্ছেন, “মেয়েদের বাংলাদেশের পুরুষেরা সামগ্রীর দৃষ্টিতে দেখে। তাঁদেরও যে মান-অভিমান-সম্মান আছে সে বিষয়ে কোন পরোয়া নেই পুরুষের।”
রুচিশীল, সংস্কৃতিমনস্ক পুরুষ নেই বাংলাদেশে বলেই জানাচ্ছেন উক্ত ব্যক্তি। এ অবস্থার জন্যে একমাত্র দায়ী মৌলবাদী দৃষ্টিভঙ্গি । দেশবাসীর কাতর মিনতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে, তিনি যেন দেশের মেয়েদের রক্ষার্থে জরুরি সু-ব্যবস্থা হাতে নেন।