বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে প্রিয়া সাহাকে ।
সম্প্রতি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অসত্য অভিযোগ দেওয়া প্রিয়াকে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে সংগঠনের পক্ষ থেকে ।
সোমবার পরিষদের স্থায়ী কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ক্রমশ জটিল হচ্ছে প্রিয়া সাহার বিষয়টি ।
প্রিয়া সাহা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে, এর মুখে দেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু নিখোঁজ হয়ে গেছে’।
ভিডিও বার্তায় এক সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়া সাহা বলেছেনঃ
গত মাসের ১৪ তারিখে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে তাকে ইমেইল করা হয়। সেই ইমেইল পেয়ে তিনি ১৫ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে যান।
কেমন আছেন সেই প্রশ্নে প্রিয়া সাহা বলেন, ‘আমি ভালো নেই। আপনারা দেশে আছেন, আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পরিস্থিতি কোথায় যাচ্ছে। আমার পরিবার ভীষণ সমস্যায় আছে। গতকাল আমার বাসার তালা ভাঙতে চেষ্টা করা হয়েছে। বাসার সামনে মিছিল করা হয়েছে। হুমকি দেয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমার পরিবারের ছবি পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। কথা বলেছি আমি, তারা আমার ছবি ছাপাতে পারতো। এর মাধ্যমে পরিবারের সবার জীবনকে বিপন্ন করা হয়েছে। আমার পরিবারের কেউ আমার কাজের সাথে কোনোভাবেই যুক্ত নয়।’
তিনি জোরালো কন্ঠেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, সত্য কথা বলা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থেকেই শিখেছেন । ট্রাম্পকে সে জন্যেই দেশের বিষয়ে এই সত্য কথাগুলো বলতে পেরেছেন।
‘এই কথাগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়েরও ওপর নির্বাচনোত্তর চরম নির্যাতন চলছিল ৯৪ দিন ধরে। আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। তিনি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন। সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে, তার অনুসরণ করে এসব কথা বলেছি। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় বলা যায়, এটা আমি তার কাছে শিখেছি।’
তিনি আরো বলেন, তাঁর নিজস্ব গ্রামে ৪০ টি পরিবার ছিল । কিন্তু ২০০৪ সালের পর থেকে ক্রমাগতভাবে কমতে কমতে তা এসে দাঁড়িয়েছে ১৩ টি-তে । বাকি ২৭ টি পরিবার কোথায় গেল, সেটা রাষ্ট্রের দেখার কথা।