ঢাকা: বাংলাদেশে বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে আগামী ২০ অক্টোবর থেকে। বাংলাদেশে শারদীয় দুর্গোৎসবে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার সরকারের সময়কালে দুর্গাপুজোর সংখ্যা বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। সে অধিকার সংহত রাখতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি।
যুক্তরাষ্ট্রসফররত ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় একটি হোটেলে যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গত ১৫ বছরে সংখ্যালঘুদের জন্য কি কি করেছেন তার একটি পরিসংখ্যাণও বৈঠকে তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বৈঠকে সংগঠনটির পক্ষে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, শিতাংশুবিকাশ গুহ, রূপ কুমার ভৌমিক, ড. দিলীপ কুমার নাথ, শ্যামল চক্রবর্তী ও শুভ রায় অংশ নেন। বৈঠক প্রসঙ্গে অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত জানান, সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে ইতিবাচক মনে হয়েছে। তিনি আমাদের সঙ্গে প্রায় ৩০ মিনিট কথা বলেছেন।
ঐক্য পরিষদের অপর নেতা শিতাংশু গুহ বলেন, আগামী শারদীয় দুর্গাপুজোয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন। ড. দিলীপ নাথ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিরা আবারও প্রধানমন্ত্রীর কাছে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন পাশের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি অত্যন্ত সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন আমাদের আবেদনের প্রতি। রুপ কুমার ভৌমিক বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বিএনপি-জামাতের অত্যাচারে অনেকেই দেশ ছেড়েছিল। তারা চেষ্টা করছেন পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে। এজন্য বহুজন ভারত থেকে ফিরেছেন।
একইসঙ্গে দেশে পুজোর সংখ্যাও বেড়েছে। এরআগে একই সংগঠনের পক্ষ থেকে নিউইয়র্কে বিদেশমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন নেতারা। শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হবে ২০ অক্টোবর থেকে।
আর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের আগে দেশে অস্থিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে অপশক্তিগুলো বরাবরই ষড়যন্ত্র করে। এবারও তারা থেমে নেই। সম্প্রতি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা সেই ইঙ্গিতই দেয়।
এর আগে দুর্গাপুজোর সময় কোরআন শরীফ অবমাননার গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা ঘটে। বাংলাদেশে একটি কথা প্রচলিত- ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা আওয়ামি লিগের ভোটব্যাংক। বাংলাদেশের ইতিহাসও তাই বলছে।
আওয়ামি লিগ রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা নিরাপদে থাকেন, নির্বিঘ্নে ও উৎসবের সাথে ধর্মীয় আচার পালন করেন। এবারও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।