বাংলাদেশে মাত্র ৩০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে তা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজিতে। আর এতে দেশে পেঁয়াজের বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। খোদ আমদানিকারকরাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এই দরের ঘোষণা দিয়েছেন। এ অবস্থায় বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তাই এখন আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতাদের দিকে।
সংশ্লিষ্ট বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাজারে এই নৈরাজ্য সৃষ্টিতে নিঃসন্দেহে সিন্ডিকেট জড়িত। অতি মুনাফার লোভে তারা পেঁয়াজ মজুদ করে দাম বাড়িয়ে চলেছে।
আমদানিকারক ও পাইকারি বিক্রেতারা অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করছেন। বলা হচ্ছে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধ। অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি হচ্ছে চাহিদার অনেক কম। সরবরাহ কম থাকার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। অথচ বাজারে পেঁয়াজের বিপুল সরবরাহ রয়েছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার এম ফখরুল আলম বলেন, আমাদের কাছে এখন সবচেয়ে অগ্রাধিকার পণ্য হলো পেঁয়াজ। এর চালান আসামাত্র দ্রুততার সঙ্গে খালাস করা হচ্ছে।
তবে খালাসের পর কারা মজুদ করছে বা বেশি দামে বিক্রি করছে তা দেখবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা অধিকারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা।
পেঁয়াজ নিয়ে কোনো কারসাজি বা অন্য কোনো অনিয়ম হয়ে থাকলে অবশ্যই তারা তা দেখবে।