কিলার প্রধান নুর কামাল পাকড়াও
ঢাকা: বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জনপ্রিয় নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রধান হোতা মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সন্ত্রাসী সংগঠন আরসার কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে দেশের এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) সদস্যরা।
এ সময় তার কাছ থেকে দেশি-বিদেশি কয়েকটি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে রাজবাড়ী শ্রমিক লিগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ মহাজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আব্দুল আজিজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়।
রাত ১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।
রবিবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং থেকে নুর কামালকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, সমিউদ্দিন মহিবুল্লাহ হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সমন্বয়কারী এবং ঘটনার সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, রবিবার রাতে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের একটি গোপন আস্তানায় রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যার মামলার এজাহারভূক্ত আসামি নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দিন অবস্থান করছে-এমন খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়।
আরসার কিলার গ্রুপের প্রধান নুর কামালের গোপন আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে দেশি-বিদেশি কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও বলেন, র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের পৃথক একাধিক দল আরসা সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে।
অভিযান শেষে সোমবার কক্সবাজারে র্যাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরসা নেতা নুর কামাল ওরফে সমিউদ্দীনকে গ্রেপ্তার ব্যাপারে জানানো হয়। ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে নিজ কার্যালয়ে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর হিউম্যান রাইটসের সভাপতি মাস্টার মহিবুল্লাহ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
এরপর মহিবুল্লাহর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বসবাস করছেন। উখিয়া থানা পুলিশ ২০২২ সালের ১৩ জুন ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিসহ আরও সাতজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বর্তমানে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মহিব্বুল্লাহ হত্যা মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।