১৯৭৮ সালের ‘নজরুল স্মৃতিকক্ষ’ ধুলোর আবরণ ভেদ করে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কৃপায় পরিচ্ছন্ন হতে চলেছে ।
সাম্য কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতির ধারক বাংলা একাডেমির ‘নজরুল স্মৃতিকক্ষ’ এর দরজায় দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুলছে ইয়াবড় এক তালা । স্মৃতিকক্ষ যেখানে প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শকের জন্য খোলা থাকার কথা, সেখানে দর্শকরা দিনের পর দিন আশাহত হচ্ছেন !
যত্নের অভাবে কক্ষের ভেতরে জমা হচ্ছে ময়লা। নষ্ট হওয়ার পথে সমস্ত বইপত্র, শিল্পীর আঁকা নজরুলের মুখচ্ছবি।
এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এটি স্পষ্ট নয় যে, সম্মান, যত্ন, ভালবাসা মানুষের মন থেকে লোপ পাচ্ছে ! সরকার মহান মানুষের স্মৃতি রক্ষার্থে অসমর্থ হয়ে পড়ছে !
তবে এবার ‘নজরুল স্মৃতিকক্ষ’টি সংস্কার করে খুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, বাংলা একাডেমির বর্ধমান হাউসে আছে নজরুলের অনেক দিনের স্মৃতি।
বর্ধমান হাউসে কবি বেশ কয়েক খানা কালজয়ী রচনা সৃষ্টি করেছিলেন।
হাউসে কবি নজরুলের সঙ্গে প্রথম পরিচয় হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক এবং কবি বুদ্ধদেব বসুর সঙ্গে। কাজী মোতাহার হোসেন দুজনকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। এখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মুসলিম ছাত্রী ফজিলতুন্নেসা নামে এক নারীর সঙ্গে নজরুলের পরিচয় হয়।