ঢাকা: বাংলাদেশের (Bangladesh) বান্দরবানের (bandarban) নাইক্ষ্যংছড়ি (Naikkyangchari) উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মায়ানমারে (Myanmar) ফের গোলাগুলি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে ছোড়া হচ্ছে আর্টিলারি ও মর্টার শেল।
তিন দফায় বাংলাদেশের (bangladesh) অভ্যন্তরে মায়ানমার (Myanmar) সেনাদের ছোড়া গোলা এসে পড়েছে। ঢাকা (dhaka) বাংলাদেশে (Bangladesh) নিযুক্ত মায়ানমারের (Myanmar) রাষ্ট্রদূতকে ডেকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। ঢাকার বক্তব্য মায়ানমারের (Myanmar) উস্কানীর ফাঁদে আমরা পা দেব না।
মঙ্গলবার অবশ্য সীমান্তের আকাশে মায়ানমারের (Myanmar) ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টারের ওড়াউড়ি দেখা যায়নি।
সীমান্তের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত শনিবার পর্যন্ত টানা ২৩ দিন রাখাইন রাজ্যের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে তুমুল লড়াই চলেছে।
এ সময় আরকান আর্মির লক্ষ্যবস্তুতে ফাইটার জেট ও হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ, মর্টার শেল ও বোমা নিক্ষেপ করে আসছিল মায়ানমারের (Myanmar) সরকারি বাহিনী।
কিন্তু গত রবিবার সকাল থেকে হঠাৎ গোলাগুলি থেমে যায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে নতুন করে গোলাগুলির শব্দে নাইক্ষ্যংছড়ি (Naikkyangchari) সীমান্ত এবং শূন্যরেখার আশ্রয়শিবিরের রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
শূন্যরেখায় আশ্রয়শিবির গড়ে তুলে পাঁচ বছর ধরে বাস করছে রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত ৪ হাজার ২০০ জনের বেশি রোহিঙ্গা। আশ্রয়শিবিরের পাশ ঘেঁষেই কাঁটাতারের বেড়া।
পাহাড়চূড়ায় রয়েছে মায়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) একাধিক চৌকি।এপারের ঘুমধুমের তুমব্রু বাজার থেকে এসব খালি চোখেই দেখা যায়। এমন অবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড, নিপীড়নের মাধ্যমে প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গাকে বিতাড়িত করে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। এদের ঘরে জন্ম নিয়েছে দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশু।
সবাই বাংলাদেশে আশ্রিত। রাখাইন রাজ্যে থাকা অন্য রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ ঠেলে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে এখনো।
এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান শক্ত করেছি। আমাদের ভয় হলো অত্যাচারিত লোকগুলো আবারও যদি আমাদের দেশে ঢোকার চেষ্টা করে।